শনিবার চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে একটি অনুষ্ঠানে অংশ নেয়ার পর তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “উনি (তারেক রহমান) আমাকে উকিল নোটিস দিয়েছেন কি না, তা এখনো নিশ্চিত নই।
“উকিল নোটিস হাতে পাওয়ার পর সিদ্ধান্ত নেব- উকিল নোটিস গ্রহণ করে জবাব দেব, না কি পাল্টা উকিল নোটিস দেব।”
সুইস ব্যাংকে হিসাব থাকা নিয়ে বক্তব্য দেয়ায় তারেক সম্প্রতি উকিল নোটিস পাঠান হাছান মাহমুদকে।
হাছান বলেন, “যদি উকিল নোটিস দিয়েও থাকেন, আমি মনে করি ভুল করে দিয়েছেন। তার উচিত ছিল বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ তার দলের নেতাদের উকিল নোটিস দেয়া।
“প্রধানমন্ত্রী যখন ঘোষণা দিলেন- সুইস ব্যাংকে যাদের টাকা আছে তা তদন্ত করা হবে এবং ফেরত আনা হবে। তখন বিএনপি নেতা মির্জা ফখরুল ইসলামসহ সিনিয়র নেতারা এমন বক্তব্য দিয়েছেন তাতেই বরং সন্দেহ ঘনীভূত হয়।”
গত মঙ্গলবার রাজধানীর একটি অনুষ্ঠানে হাছান মাহমুদ বলেছিলেন, “সুইস ব্যাংকে তারেক-কোকো এমনকি খালেদা জিয়ারও টাকা রয়েছে। এজন্য প্রধানমন্ত্রী টাকা ফেরত আনার ঘোষণা দেয়ার পর বিএনপির নেতাদের মধ্যে অস্বস্তি লক্ষ্য করা যাচ্ছে।”
ওই বক্তব্য পত্রিকায় প্রকাশের পর গত বৃহস্পতিবার হাছান মাহমুদকে উকিল নোটিস পাঠান বিএনপি নেতা তারেক রহমান।
তারেকের আইনজীবী কায়সার কামাল জানান, উকিল নোটিসটি হাছান মাহমুদের বাসা ও নাখালপাড়ার এমপি হোস্টেলের ঠিকানায় কুরিয়ার সার্ভিস ও সরকারি রেজিস্ট্রি ডাকযোগে পাঠানো হয়েছে।
হাছান মাহমুদ বলেন, “বিএনপি নেতাদের বক্তব্যে যে অস্বস্তি দেখা যাচ্ছে তাতেই সন্দেহ ঘনীভূত হয় যে সুইস ব্যাংকে হয়ত তারেক রহমান ও আরাফাত রহমানের অ্যাকাউন্ট আছে।
“আমি সেই সন্দেহের কথাই বলেছি। এই সন্দেহের উদ্রেকের জন্য বিএনপি নেতারাই দায়ী। তাই তাদেরই উকিল নোটিস দেয়া উচিত।”