বিশ্বকাপের তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচের শুরুতেই নেদারল্যান্ডসের কাছে দুই গোল খায় পাঁচ বারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা।
শনিবার ব্রাজিলিয়ার স্তাদিও নাসিওনালে তৃতীয় মিনিটেই নেদারল্যান্ডসকে এগিয়ে নেন রবিন ফন পের্সি। দ্বিতীয় মিনিটে ডি বক্সে আরিয়েন রবেনকে ব্রাজিলের অধিনায়ক চিয়াগো সিলভা ফাউল করলে পেনাল্টি পায় ডাচরা।
বাঁ দিকে ঝাঁপালেও ফন পের্সির শট ঠেকাতে পারেননি জুলিও সেজার। খেলার বয়স তখন মাত্র ২ মিনিট ৩৩ সেকেন্ড।
ষষ্ঠ মিনিটে প্রথম আক্রমণটি গড়ে ব্রাজিল। বাঁদিক থেকে অস্কারের চমৎকার ক্রসটি অল্পের জন্য নাগালে পাননি রামিরেস।
সেমি-ফাইনালে রক্ষণভাগের সীমাহীন ব্যর্থতায় জার্মানির কাছে ৭-১ গোলে হারের দুঃস্বপ্ন ১৭তম মিনিটেই মনে করিয়ে দেন দাভিদ লুইস। ডান প্রান্ত দিয়ে ইয়োনাথন ডে গুসমানের ক্রস বিপদমুক্ত করতে গিয়ে ডালে ব্লিন্ডের পায়ে তুলে দেন লুইস।
ডি বক্সের বাঁ পায়ে বল নামিয়ে ডান পায়ের জোরালো শটে বল জালে জড়ান ব্লিন্ড। বিশ্বকাপে এটাই তার প্রথম গোল।
৩৮তম মিনিটে ব্যবধান কমানোর একটি সুযোগ হাতছাড়া হয়ে যায় ব্রাজিলের। ডান দিক থেকে অস্কারের একটি ফ্রি-কিকে ডি বক্সে গুস্তাভো মাথা ছোঁয়ানোর পর জালের সামনে বলে পা লাগাতে পারেননি পাউলিনিয়ো ও লুইসের কেউই।
ব্রাজিল দলের শুরুর একাদশে ছয়টি পরিবর্তন আনেন কোচ লুইস ফেলিপে স্কলারি। নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে অধিনায়ক চিয়াগো সিলভা ফিরেনে। দলে আসেন জো, ম্যাক্সওয়েল, রামিরেস, উইলিয়ান ও পাউলিনিয়ো। বাদ পড়েন দান্তে, ফ্রেদ, মার্সেলো, হাল্ক, বের্নার্দ ও ফের্নান্দিনিয়ো।