জাতিসংঘের যুদ্ধবিরতির আহ্বানের পরেও গাজায় হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েল। ফিলিস্তিনের অবরদ্ধ গাজা উপত্যকায় টানা ৬ষ্ঠ দিনের মতো অব্যাহত রয়েছে ইহুদিবাদী ইসরাইলের আগ্রাসন। ১৬০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন বলে দেশটির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। জাতিসংঘের হিসাব মতে- নিহতদের মধ্যে শতকরা ৮০ ভাগ নারী, শিশু ও বয়স্ক সাধারণ মানুষ।
ইসরাইলের বর্বর হামলায় আহত হয়েছেন এক হাজারের বেশি মানুষ। ঘর-বাড়ি ধ্বংস হয়েছে দুই হাজারেরও বেশি। এছাড়া, ধ্বংস হয়ে গেছে দুটি মসজিদ এবং একটি প্রতিবন্ধী চিকিৎসাকেন্দ্র। গাজার বিদ্যুৎ, পানি ও যোগাযোগ ব্যবস্থাও ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
বার্তা সংস্থা এএফপি’র খবরে বলা হয়েছে- গাজায় এ পর্যন্ত ইসরাইলি বাহিনী ১ হাজার ৩০০ বার বিমান হামলা করেছে। জাতিসংঘসহ বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশ গাজায় আগ্রাসন বন্ধ করতে ইসরাইলের যুদ্ধবাজ প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর প্রতি আহ্বান জানালেও তিনি তা অগ্রাহ্য করেছেন। গাজার শিশুরা রয়েছে সবচেয়ে ভয়াবহ খারাপ অবস্থার মধ্যে। ইসরাইলের এসব হামলার কারণে তাদের মধ্যে নানা ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পরে।
এদিকে, ইসরাইলের এই আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস তাদের সামর্থ্য মতো রকেট ছুঁড়ে জবাব দিয়ে যাচ্ছে। ইসরাইলের সূত্রগুলো রবিবার জানিয়েছে, গাজা থেকে নতুন করে হামাসের ছোঁড়া রকেট ইসরাইলের আশকেলোন, বে’ইর শেবা, আশদোদ ও বানি শামুন শহরে আঘাত হেনেছে। আশদোদ শহরে রকেটের আঘাতে সেখানে আগুন ধরে যায়। হামাস বলেছে, তারা ইসরাইলের ভেতরে রকেট হামলা বাড়াবে এবং আরো বেশি ক্ষমতাসম্পন্ন রকেট ছুঁড়বে। হামাসের রকেটের কাছে এরইমধ্যে ইসরাইলের ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আয়রন ডোম ব্যর্থ প্রমাণিত হয়েছে। একইসঙ্গে ইসরাইলের জনগণের কাছে এ ব্যবস্থা রীতিমতো আতংকের কারণ হয়ে দেখা দিয়েছে।
অন্যদিকে, গাজায় ইহুদিবাদী ইসরাইলের ববর্র আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ইরানসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে আমেরিকা, ব্রিটেন, ফ্রান্স, তুরস্ক, জর্দান, তিউনিশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, হংকং, অস্ট্রেলিয়া, ভারত, জাপান ও মালয়েশিয়া। সূত্র : আইআরআইবি