বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ্য করে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেছেন, “যত কিছুই বলেন না কেন, আওয়ামী লীগকে আন্দোলনের ভয় দেখিয়ে কোনো লাভ হবে না। কারণ আওয়ামী লীগ আন্দোলনের হেডমাস্টার।”
সোমবার দুপুরে রাজধানীর কাকরাইলে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সিটিউট মিলনায়তনে নৌকা সমর্থক গোষ্ঠী আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
সুরঞ্জিত বলেন, “আওয়ামী লীগ দুটি জায়গায় সফল। একটি আন্দোলন, অপরটি মুক্তিযুদ্ধ। একা একা গণতন্ত্র হয় না। এতে মত ও পথের ভিন্নতা থাকবে। তাই ঈদের পরে যদি আপনারা আন্দোলনের নামে একটি নির্বাচিত গণতান্ত্রিক সরকারকে অনিয়মতান্ত্রিকভাবে গণঅভ্যূত্থানের মাধ্যমে নামানোর চেষ্টা করেন, তাহলে অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতাসহ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ঠিক রাখতে গণতান্ত্রিক সরকারের প্রশাসনিক অঙ্গগুলো বসে থাকবে না। তারা কঠোর থেকে কঠোর সিদ্ধান্ত নেবে।”
তিনি বলেন, “এক দল বলে রোজার পরই আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারকে পতন করব। আরেক দল বলে আয় আমরাও মাঠে থাকব। আসলে এটা তো গণতান্ত্রিক ভাষা না।”
“আপনারা বলতে পারতেন আগামী নির্বাচনের মধ্য দিয়ে সরকার পতন করব। গণতান্ত্রিক সাংস্কৃতি নির্মাণে শুধু সরকারি দলই কাজ করবে না। বিরোধী দলগুলোরও দায়িত্ব রয়েছে” যোগ করেন সুরঞ্জিত।
তিনি আরো বলেন, “খালেদা জিয়াকে অনুরোধ করব গণতান্ত্রিক সংস্কৃতির মাধ্যমে আপনি সরকারে ফিরে আসেন। এতে যদি জনগণ আপানদের গ্রহণ করে এবং আমরা বিরোধী দলে বসি তাতে কোনো দুঃখ নেই।”
সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেন, “পৃথিবীতে আজ বিশ্বায়নের রাজনীতির চালু হচ্ছে। তাই বিএনপিকে উগ্র সাম্প্রদায়িক রাজনীতির সঙ্গে সম্পর্ক কমিয়ে বিশেষ করে জামায়াতের সঙ্গ ছেড়ে গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে ফিরে আসা প্রয়োজন। তাদের আন্দোলনের কথা ভাবার চেয়ে রাজনৈতিক চিন্তাধারা পরিবর্তন জরুরি হয়ে পড়েছে।”
আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগ নেতা মোজাফ্ফর হোসেন পল্টু, আয়োজক সংগঠনের নেতা হুমায়ন কবির প্রমুখ।