এক ঝুট ব্যবসায়ীকে ধরে এনে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে গ্রেপ্তার মিরপুর থানার উপ পরিদর্শক জাহিদুর রহমানসহ আটজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশ। মিরপুর মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন খান জানান, থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রকিবুল ইসলাম বাদী হয়ে আজ বৃহস্পতিবার সকালে এই হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার অভিযোগে বলা হয়, নির্যাতনের কারণেই ঝুট ব্যবসায়ী মাহবুবুর রহমান সুজনের মৃত্যু হয়েছে। মামলার অপর আসামিরা হলেন, এএসআই রাজকুমার, কনস্টেবল আনোয়ার ও রাশেদুল এবং পুলিশ সোর্স নাসিম, পলাশ, ফয়সাল ও খোকন। এদের মধ্যে এসআই জাহিদ ও সোর্স নাসিম গ্রেপ্তার রয়েছেন।
পরিবারের অভিযোগ, গত শনিবার মধ্যরাতে ঝুট ব্যবসায়ী মাহবুবুর রহমান সুজন, তার স্ত্রী এবং পাঁচ বছর বয়সী ছেলেকে শংকরের বাসা থেকে ধরে নিয়ে যায় পুলিশ। তার আগে জাহিদুর রহমানসহ অন্য পুলিশ সদস্যরা তাদের পেটায়। সুজনের স্ত্রী মমতাজ সুলতানা জানান, থানায় নিয়ে যাওয়ার পর তার স্বামীকে আলাদা করে অন্য সেলে নিয়ে যাওয়া হয়। রোববার সকালে থানায় বসেই তিনি জানতে পারেন সুজন মারা গেছেন।
পরে মমতাজ ও তার ছেলেকে থানা থেকে ছেড়ে দেয়া হয়। পুলিশের পক্ষ থেকে সে সময় বলা হয়, সুজন শাহ আলী থানার একজন তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী। শনিবার রাতে থানা হেফাজতে নিয়ে অস্ত্র উদ্ধার অভিযানে বের হওয়ার আগে তিনি হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। রোববার ভোরে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তবে সুজনের ভাই মাকসুদুর রহমান অভিযোগ করেন, প্রতিমাসে এক লাখ টাকা চাঁদা না দিলে তার ভাইয়ের ঝুট ব্যবসা বন্ধ করে দেয়ার হুমকি দিয়েছিলেন এস আই জাহিদ। আর তা না দেয়ায় ধরে নিয়ে গিয়ে নির্যাতন চালিয়ে তাকে হত্যা করা হয়।
এদিকে নির্যাতনের অভিযোগ ওঠার পর এস আই জাহিদুর রহমানকে সাময়িক বরখাস্ত করে পুলিশ কর্তৃপক্ষ। সুজনের লাশের ময়না তদন্ত প্রতিবেদনে এটিকে একটি হত্যাকাণ্ড হিসাবে উল্লেখ করা হলে বুধবার জাহিদকে গ্রেপ্তার করা হয়। সুজনের মা শাহিদা আকতার বুধবার রাতে সাংবাদিকদের বলেন, তারা থানায় কোনো মামলা করবেন না। এর বদলে আদালতে গিয়ে একটি হত্যা মামলা এবং শিশু ও নারী নির্যাতন আইনে আরেকটি মামলা করবেন। – See more at: http://www.kalerkantho.com/online/national/2014/07/17/107952#sthash.PEfmYQGm.dpuf