যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (যবিপ্রবি)-এর শিক্ষার্থী নাঈমুল ইসলাম ওরফে রিয়াদ হত্যাকাণ্ডে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. আবদুস সাত্তার জড়িত বলে অভিযোগ করেছেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ।
বৃহস্পতিবার সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি এইচ এম বদিউজ্জামান ও সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকী নাজমুল আলম এক বিবৃতিতে এ অভিযোগ করেছেন।
বিবৃতিতে ছাত্রলীগের শীর্ষ এই দুই নেতা বলেন, “যবিপ্রবির ভিসি ড. আবদুস সাত্তার বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে ব্যাপক দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েছিলেন। ভিসি ব্যক্তিগত দুর্নীতি ও জামায়াত-শিবিরের তোষণনীতিকে অব্যাহত রাখার জন্যই বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছেন। তাছাড়া যবিপ্রবি ছাত্রলীগের মধ্যে কোনো প্রকার গ্রুপিং নেই।”
তারা আরো বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি কিছুদিন ধরে ছাত্রলীগের কিছু কর্মীদের দিয়ে আলাদা গ্রুপ তৈরির চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে হত্যাকাণ্ডের মতো ঘটনা ঘটিয়ে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা করছেন। তাছাড়া ঘটনা ঘটার তিন ঘণ্টার মধ্যে কোনো তদন্ত ছাড়াই যবিপ্রবি ছাত্রলীগ সভাপতি সুব্রত বিশ্বাস ও সাধারণ সম্পাদক শামীম হাসানকে বহিষ্কারের মধ্যে দিয়ে প্রমাণিত হয় ভিসি খুনিদের ওপর ক্ষিপ্ত নন, ক্ষিপ্ত ছাত্রলীগের ওপর।”
তারা দাবি করেন, “এই ঘটনায় সম্পূর্ণ উদ্দেশ্য প্রণোদিত হয়ে যশোর জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন বিপুলকে জড়ানো হয়েছে। যবিপ্রবির ঘটনায় জেলা ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ কীভাবে সম্পৃক্ত সেটা আমাদের বোধগম্য নয়।”
বিবৃতিতে তারা অবিলম্বে ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দের নামে করা মামলা প্রত্যাহার করে প্রকৃত খুনিদের আড়াল করার চেষ্টা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান।
সেই সঙ্গে বিবৃতিতে নাঈমুল হোসেন রিয়াদ হত্যাকাণ্ডে গভীর শোক ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেন ছাত্রলীগের এই শীর্ষ নেতারা।