যুক্তরাজ্যের এসেক্স ইউনিভার্সিটির সম্মানসূচক ডক্টরাল ডিগ্রি পেয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী। ইউনিভার্সিটির ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে স্নাতক উৎসব-২০১৪ অনুষ্ঠানে স্পিকারকে এ সম্মাননা দেওয়া হয়।
বুধবার বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের প্রথম নারী স্পিকার এবং নারীর অধিকার অর্জনে সফলতা ও বিশেষ অর্থপূর্ণ কর্মযজ্ঞ সম্পাদনের স্বীকৃতিস্বরূপ স্পিকারকে এ সম্মাননা দেওয়া হয়েছে।
এসেক্স ইউনিভার্সিটি’র প্রো-চ্যান্সেলর ডেভিড বোয়েল স্পিকারের হাতে এ সম্মনসূচক ডক্টরাল ডিগ্রি তুলে দেন। অন্যান্যদের মধ্যে যুক্তরাজ্যের এসেক্স ইউনিভার্সিটি’র ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ফরস্টার এবং এসেক্স বিজনেস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটস প্রজেক্টের ডিরেক্টর প্রফেসর শেল্ডন লিডার এসময় উপস্থিত ছিলেন।
স্পিকার সম্মানসূচক ডক্টরাল ডিগ্রি গ্রহণ করে বলেন, নারীর ক্ষমতায়ন ও জেন্ডার সমতা নিশ্চিতকরণ ছাড়া টেকসই উন্নয়ন অর্জন সম্ভব নয়।
এসময় স্পিকার চৌদ্দ বছর পূর্বে এসেক্স উইনিভার্সিটিতে তার সাড়ে তিন বছর অবস্থানের দিনগুলোর স্মৃতিচারণ করেন।
পিএইচডি স্টাডি কোর্সের সময় বৃদ্ধিদীপ্ত সহযোগিতা এবং তত্ত্বাবধানের জন্য সুপাভাইজার প্রফেসর শেল্ডন লিডারকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়ে স্পিকার বলেন, “ডক্টর অব ফিলোসফি (পিএইচডি) অর্জনের সময়েই মানবাধিকার ও ন্যায়বিচার নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে কাজ করার উদ্দীপনা পেয়েছি। এছাড়া এসেক্স ইউনিভার্সিটি থেকে অর্জিত জ্ঞান মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী হিসেবে কাজ করার অভিজ্ঞতা এবং বর্তমানে স্পিকার হিসেবে কাজের সাথে প্রকৃতপক্ষে সামঞ্জস্যপূর্ণ।”
শিরিন শারমিন বলেন, “মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালনের সময়েই বাংলাদেশে ‘জাতীয় নারী উন্নয়ন নীতি-২০১১’ ‘শিশু নীতি-২০১১’ এবং ‘পারিবারিক সহিংসতা (প্রতিরোধ ও সুরক্ষা) আইন-২০১০’ প্রণীত হয়েছে।”
তিনি বলেন, নারীর সমঅধিকার প্রতিষ্ঠাই সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার ভিত্তি। নারীর বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর ও তাদের স্বপ্ন এ নীতিতে প্রতিফলিত পেয়েছে এবং তাদের আশা এ নীতির মাধ্যমে তাদের সন্তানদের ভবিষ্যৎ গড়বে এবং স্বপ্ন বাস্তবায়িত হবে। এ নীতিমালা অনুসরণপূর্বক নারী ও শিশুর সার্বিক অধিকার প্রতিষ্ঠা, নারীর ক্ষমতায়ন এবং নারীকে সামগ্রিক উন্নয়নের মূলধারায় সম্পৃক্তকরণের প্রক্রিয়া চলমান। নিবিড় প্রশিক্ষণের মাধ্যমে নারীর দক্ষতা বৃদ্ধিসহ যেকোনো নীতিমালা প্রণয়নে নারীর আয়বর্ধক কর্মসংস্থানের বিষয়টিকে গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করতে হবে।
যুক্তরাজ্য সফরকালে স্পিকার সম্মানসূচক ডিগ্রি গ্রহণ ছাড়াও দুই দেশের সংসদীয় অভিজ্ঞতা বিনিময় ও সংসদীয় আন্তঃসম্পর্ক জোরদারের লক্ষ্যে ব্রিটিশ পার্লামেন্টের হাউজ অব লর্ডস এবং হাউজ অব কমন্সের স্পিকার এবং ব্রিটিশ পার্লামেন্টের সংসদ সদস্যগণের সাথে দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় অংশ নেবেন এবং স্থানীয় বাংলাদেশ কমিউনিটির সাথে সাক্ষাৎ করবেন। আগামী ২২ জুলাই তিনি দেশে ফেরার কথা রয়েছে।