পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষে সিলেট-ঢাকা ও সিলেট-চট্টগ্রাম রুটে কোনো স্পেশাল ট্রেন রাখা হয়নি। ফলে রুট দুটির ট্রেনের টিকিট পাওয়া নিয়ে উদ্বিগ্ন পরিবার পরিজনের সঙ্গে ঈদ করতে যাওয়া ঘরমুখো মানুষ।
অন্যান্য বছরের মতো এবারও কোনো স্পেশাল ট্রেন না থাকায় তীব্র ক্ষোভ-অসন্তোষ বিরাজ করছে ট্রেন যাত্রীদের মধ্যে। তারা বলছেন- ঈদে ঘরমুখো মানুষের চাপ বেশি থাকায় নিয়মিত ট্রেনের টিকিট পেতে তাদের অনেক বেগ পেতে হবে। ফলে ভোগান্তিতে পড়বেন তারা।
তবে, যাত্রী চাপ সামলাতে ঈদের তিন দিন আগে থেকে রুট দুটিতে চলাচলকারী আন্তঃনগর ট্রেনগুলোতে বাড়তি বগি বা কোচ সংযোজনের কথা ভাবছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। যদিও এখনো বিষয়টি চূড়ান্ত হয়নি বলে বাংলানিউজকে জানিয়েছেন সিলেট রেলওয়ে স্টেশনের ব্যবস্থাপক আবদুর রাজ্জাক।
তিনি বলেন, ঈদ উপলক্ষে সিলেট-ঢাকা, সিলেট-চট্টগ্রাম রুটে স্পেশাল কোনো ট্রেন না থাকলেও ছয়টি আন্তঃনগর ট্রেনে বাড়তি কোচ সংযোজন করা হতে পারে।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, ঈদ উপলক্ষে ঢাকা-সিলেট রুটে চলাচলকারী আন্তঃনগর কালনি এক্সপ্রেস, পারাবত এক্সপ্রেস, উপবন এক্সপ্রেস ও জয়ন্তিকা এক্সপ্রেস এবং সিলেট-চট্টগ্রাম রুটে চলাচলকারী উদয়ন এক্সপ্রেস ও জয়ন্তিকা এক্সপ্রেস ট্রেনের প্রতিটিতে ৩-৪টি করে অতিরিক্ত কোচ সংযোজন করা হলে ঈদে ঘরমুখো যাত্রীদের ভোগান্তি লাঘবে কিছুটা হলেও সহায়ক হবে।
এদিকে ঈদ উপলক্ষে রোববার থেকে সিলেট রেলওয়ে স্টেশনে অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হবে। যাত্রীরা প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে বিকেল ছয়টা পর্যন্ত কাউন্টার থেকে আগাম টিকিট সংগ্রহ করতে পারবেন। একজন যাত্রী সর্বোচ্চ চারটি করে টিকিট কিনতে পারবেন।
প্রথম দিন রোববার ২০ জুলাই বিক্রি করা হবে ২৪ জুলাইয়ের টিকিট। পর দিন সোমবার ২৫ জুলাইয়ের, ২২ জুলাই ২৯ জুলাইয়ের ট্রেনের টিকিট বিক্রি করা হবে। তবে ২৭ জুলাই ৩১ জুলাই এবং ২৮ জুলাই ১ আগস্টের টিকিট ছাড়া হবে। এর পরের দিনের জন্য ফিরতি টিকিট বিক্রির সিদ্ধান্ত এখনও নেওয়া হয়নি।
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে ৩০ জুলাইয়ের টিকিট বিক্রি করা হবে। ঈদের দিন ট্রেন বন্ধ থাকবে। ঈদের পরদিন থেকে আবারও সব রুটে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হবে।
সিলেট রুটে আন্তঃনগর ট্রেনের কোচ অনেক আগেই কমিয়ে দিয়েছিল রেল কর্তৃপক্ষ। এ নিয়ে বিভিন্ন সময় সভা-সমাবেশে ট্রেনের কোচ বাড়ানো ও যাত্রী সেবার মানোন্নয়নের দাবি করা হয়েছে। প্রত্যাশা ছিল এবার ঈদে হয়তো উদ্যোগ নেবে রেল কর্তৃপক্ষ। কিন্তু হয়েছে এর উল্টো। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে দশ জোড়া স্পেশাল ট্রেন পেলেও বঞ্চিত রয়েছেন এই জনপদের মানুষ।