রাজধানীর মিরপুরে পুলিশি নির্যাতনে ঝুট ব্যবসায়ী মাহবুবুর রহমান সুজনের মৃত্যুর ঘটনায় মিরপুর থানার ওসি সালাহউদ্দিন আহমেদ ও এসআই জাহিদুর রহমান জাহিদসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
রবিবার সকালে নিহত সুজনের স্ত্রী মমতাজ সুলতানা লুসি ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতে মামলাটি দায়ের করেন।
নির্যাতন ও হেফাজতে মৃত্যু আইন-২০১৩ এর ১৫ ধারার এ মামলায় অপর আসামিরা হলেন- এএসআই রাজকুমার, কনস্টেবল আনোয়ার, কনস্টেবল রাশেদুল, সোর্স নাসিম, সোর্স পলাশ, সোর্স ফয়সাল, সোর্স খোকন ও মিথুন। এ ছাড়া অজ্ঞাত আরো ১০ জনকে এই মামলায় আসামি করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট আদালতের বিচারক মোঃ জহুরুল হক বাদী মমতাজ সুলতানা লুসির জবানবন্দি গ্রহণ করে এ সংক্রান্ত আদেশ পরে দেবেন বলে জানা গেছে।
বাদীপক্ষে বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতির পক্ষে এডভোকেট সালমা আলী, রেহানা সুলতানা, ফাহমিদা আক্তার রিংকি মামলাটি পরিচালনা করছেন।
প্রসঙ্গত, গত ১২ জুলাই গভীর রাতে ধানমণ্ডির শঙ্কর এলাকা থেকে এসআই জাহিদুর রহমান জাহিদ ব্যবসায়ী মাহবুবুর রহমান সুজন, তার স্ত্রী মমতা সুলতানা লুসি ও সন্তান মোশাররফকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। থানায় স্ত্রী ও সন্তানকে একটি কক্ষে আটকে রেখে সুজনকে নির্যাতন করা হয়। এতে তিনি সেখানেই মারা গেলে তাকে অসুস্থ দেখিয়ে হাসপাতালে পাঠানো হয়। ১৩ জুলাই ভোরেই থানা থেকে সুজনের স্ত্রী ও সন্তানকে ছেড়ে দেয়া হয়।
১৬ জুলাই বিকালে রাজারবাগ পুলিশ লাইন থেকে এসআই জাহিদকে গ্রেফতার করা হয়। পরদিন ১৭ জুলাই মিরপুর থানার এসআই রাকিবুল ইসলাম খান বাদী হয়ে হত্যার অভিযোগে জাহিদুর রহমান জাহিদসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। মামলার অপর আসামিরা হলেন এএসআই রাজকুমার, কনস্টেবল আনোয়ার, কনস্টেবল রাশেদুল এবং সোর্স নাসির, পলাশ, ফয়সাল ও খোকন।
ওইদিন দুপুরে মাহবুবুর রহমানের আদালতে গ্রেফতারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হলে আদালত ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।