বিসিবির দেওয়া শাস্তি পুনর্বিবেচনা করার জন্য আবেদন করেছেন দেশসেরা ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান। রবিবার মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বিসিবির কার্যালয়ে এসে শাস্তি মওকুফের আবেদন করেছেন তিনি। দুপুর ১২টা ১০ মিনিটে তিনি তার ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ে স্টেডিয়ামের বিসিবি কার্যালয়ে উপস্থিত হয়েছিলেন। বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরী সুজনের কাছে শাস্তি কমানোর আবেদনপত্র জমা দিয়েছেন সাকিব।
এর আগে বিসিবি কার্যালয়ে এসেই ক্রিকেট অপারেশন্স রুমে আকরাম খান এবং কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহের সঙ্গে আলাপ করেছেন সাকিব। ওই সময় রুমে ছিলেন বিসিবি মিডিয়া ম্যানেজার রাবিদ ইমাম, ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির ম্যানেজার ছাব্বির রহমান ও ট্রেনার মারিও ভিল্লাভারায়েন।
সাকিব আপিল করলেই যে তার শাস্তি অনেকখানি কমে যাচ্ছে, তা কিন্তু নয়। শাস্তি কতটুকু মওকুফ হবে, তা নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে ধূম্রজাল। এ বিষয়ে প্রধান নির্বাহী বলেছেন, ‘সাকিব আল হাসান একটি আবেদন করেছেন ক্রিকেট বোর্ডে। গত ৭ জুলাই পরিচালনা পর্ষদে সিদ্ধান্ত হয়েছিল। ওই সিদ্ধান্তকে পুনর্বিবেচনা করার জন্য তিনি আবেদন করেছেন। আবেদন শেষে দুপুর দেড়টার দিকে নিজ গাড়িতে করে স্টেডিয়াম তাগ্য করেছেন তিনি।’
শাস্তি কমানোর প্রক্রিয়াটা কী হবে- এমন প্রশ্নে বিসিবির নির্বাহী বলেছেন, ‘আপনারা জানেন, এটা বোর্ডের সিদ্ধান্ত। এটা অবশ্যই যথাযথ কর্তৃপক্ষকে জানাব। বোর্ড এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে।’
কত সময় লাগতে পারে- এমন প্রশ্নে তিনি বলেছেন, ‘সময় কত লাগবে তা এখনই বলা যাচ্ছে না। আমার তরফ থেকে আমি পাঠিয়ে দেব। তারপর বোর্ড সিদ্ধান্ত নেবে।’
উল্লেখ্য, শৃঙ্খলা ভঙ্গের বেশ কয়েকটি ঘটনা তুলে ধরে ৭ জুলাই সাকিবকে ৬ মাসের জন্য সব ধরনের ক্রিকেট থেকে বহিষ্কার করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। এর সঙ্গে ২০১৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত তাকে বিদেশে কোনো লিগ খেলার জন্য অনাপত্তিপত্র দেওয়া হবে না- এই শাস্তিও জুড়ে দেওয়া হয়েছে।
তবে শাস্তি চলকালে সাকিব অনুশীলন চালিয়ে যেতে পারবেন। সাকিবের জন্য আলাদা অনুশীলনের ব্যবস্থা করা হবে। সেখানে নিষিদ্ধ থাকা পর্যন্ত অনুশীলন চালিয়ে যাবেন সাকিব। সাকিবের শাস্তি কমানোর ইস্যুতে কোচের ভূমিকাও গুরুত্বপূর্ণ। সেক্ষেত্রে কোচ হাথুরুসিংহে এবং বিসিবির সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের যে বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে, সেটাও খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে এটা সহজেই অনুমেয়।