র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) বিলুপ্ত করার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে চিঠি দিয়েছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডাব্লিউ)।
সোমবার এইচআরডাব্লিউ-র ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
সংস্থাটি মনে করে, র্যাব এখন প্রশ্নবিদ্ধ। তাই এ বাহিনীকে দ্রুত বিলুপ্ত করা উচিত। তবে বিলুপ্ত করার আগে সেবাবাহিনীর সদস্যদের র্যাব থেকে প্রত্যাহার করে সামরিক বাহিনীতে রূপান্তর করা উচিত।
নিউইয়র্ক ভিক্তিক এইচআরডাব্লিউ জানায়, র্যাব কর্মকর্তারা বর্তমানে ক্ষমতাসীন দলের সদস্যের হয়ে কাজ করে। ২০১৪ সালের এপ্রিলে নারায়ণগঞ্জের সাত খুনের সঙ্গে সংগঠনটি জড়িত। এই ঘটনার ফলে স্পষ্ট যে, র্যাব ডেথ স্কোয়াড হিসেবে কাজ করছে।
হিউম্যান রাইটচ ওয়াচের এশীয় অঞ্চলের পরিচালক ব্রাড অ্যাডামস বলেছেন, বাংলাদেশ সরকার র্যাব পুনর্গঠন ও একে জবাবদিহিতার আওতায় আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। কিন্তু সেই প্রতিজ্ঞা বাস্তবায়নে তারা পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে।
অ্যাডামস আরো বলেন, জবাবদিহিতা না থাকায় বিভিন্ন অপরাধমূলক কাজের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছে র্যাব। তাই এখন র্যাবকে আর পুনর্গঠন করার মতো কোন পরিবেশ নেই। তাই র্যাবকে যত দ্রুত সম্ভব বিলুপ্ত করা উচিত।
উদাহরণ হিসেবে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ আরো জানায়, ২০০৪ সালে বিএনপির হাতে র্যাব গঠিত হয়। বিএনপির পরে পরবর্তী দশকে সেনা সমর্থিত তত্ত্ববধায়ক সরকার ও আওয়ামী লীগ সরকারের আমলেও র্যাব কোনো জবাবদিহিতা ছাড়াই কার্যক্রম পরিচালনা করতে থাকে। যা সংগঠনটির ভাবমূর্তি নষ্ট করেছে। গত ১০ বছরে নির্যাতন ও নির্বিচারে গ্রেফতারসহ প্রায় ৮০০ হত্যাকা-ের জন্য র্যাবকে দায়ী করা হয়।
সূত্র: এইচআরডাব্লিউ ওয়েবসাইট