শামসুল আলম শাহীন, কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি : প্রতিবারের ন্যায় এবারও দেশের সর্ববৃহৎ ঈদজামাত অনুষ্ঠিত হবে কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায়। এবার অনুষ্ঠিত হবে ১৮৭ তম ঈদুল ফিতরের জামাত। এ জামাতে ইমামতি করবেন বাংলাদেশ ওলামা মাসায়েখ সংহতি পরিষদ ও ইসলাহুল মুসলিমিন পরিষদের চেয়ারম্যান মাওলানা ফরিদউদ্দিন মাসউদ। সকাল ১০ টায় জামাত শুরু হবে। ঈদগাহ পরিচালনা কমিটি ও স্থানীয় প্রশাসন ব্যাপক প্রস্তুতির কথা জানালেও প্রাক প্রস্তুতির ব্যাপারে স্থানীয় মুসল্লীদের মধ্যে রয়েছে ক্ষোভ ও অসন্তেুাষ।
ঈদগাহের মাঠে দাগ কাটা, মিম্বর ও দেয়ালে নতুন রং করা, ওজুখানায় পানি সরবরাহ, মাইকের বৈদ্যুতিক লাইন সংযোগসহ বিভিন্ন কাজ ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে। এখন চলছে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার কাজ। পাশাপাশি নেওয়া হয়েছে ব্যাপক নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা। এ লক্ষ্যে প্রশাসন প্রস্তুতিমূলক সভা করেছে।
শোলাকিয়া ঈদগাহে পানি নিষ্কাশনের তেমন কোন সুব্যবস্থা নেই। বৃষ্টি হলে কাদা পানিতেই নামাজ আদায় করতে হয় মুসল্লীদেরকে। এ জন্যে বিশেষ কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয় না, এমন অভিযোগ অনেকের।
এ মাঠে নামাজ আদায় করলে প্রচুর সওয়াব পাওয়া যায়, দোয়া কবুল হয়, নেক মাকসুদ পূর্ণ হয়-এ বিশ্বাস থেকেই এর প্রতি মানুষের আকর্ষণ দিন দিন বাড়ছে। দূর দূরান্তের মুসল্লীরা ২৭ রমজানের পর থেকেই মাঠে আসতে শুরু করেন। প্রতিবছরই মুসল্লীর সংখ্যা বাড়ছে। ঈদের দিন উপচে পড়া ভিড় হয়। মুসল্লীর সংখ্যা বিবেচনায় নিয়ে মাঠের পরিধি বাড়ানোর দাবিও করেছেন অনেকে। ঈদের দিন শোলাকিয়া মাঠে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণের কথা জানালেন পুলিশ সুপার।
জেলা প্রশাসক ঈদগাহের উন্নয়নমূলক কাজ ও ঈদজামাতের প্রস্তুতির কথা উল্লেখ করে বলেন, ইতোমধ্যে দেশের বিশিষ্টজনের কাছে আমন্ত্রণপত্র পৌছে দেওয়া হয়েছে। অন্যবারের তুলনায় এবার বেশি মুসল্লীর সমাগম হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। দূরের মুসল্লীদের সুবিধার্থে তিনটি বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানালেন জেলা প্রশাসক।