ও মন রমজানেরই রোজার শেষে এল খুশির ঈদ’- জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের এই গানটি গুনগুনিয়ে এক মাস সিয়াম সাধনার পর যথাযথ ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ও আনন্দ-উত্সবের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের মুসলমান সম্প্রদায়সহ সকল ধর্মের মানুষেরা মেতে উঠেছেন ঈদ উৎসবে। এ দিনটি ধনী-গরিব, আশরাফ-আতরাফ-নির্বিশেষে সবাইকে এক কাতারে দাঁড় করায়। ফলে ঈদ কেবল আনন্দের বার্তাই নিয়ে আসে না, উদ্ভাসিত হয় ইসলামের সাম্যের এক বড় পরিচয়।
মঙ্গলবার সকালে সারাদেশে কোটি কোটি মুসলমান একসাথে ঈদগাহে ঈদের নামাজ আদায় করেন। এরপরই মূলত হাসি-আনন্দের উৎসবে পরিণত হয়েছে দেশ। বাড়িতে বাড়িতে সেমাই-নুডুলস খেয়ে আড্ডায় উৎসবে ঈদের দিনটি কাটাচ্ছেন দেশবাসী।
প্রতিবারের মতো এবারও দেশের বৃহত্তম ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দানে।
ঈদ উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াও দেশবাসীকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
ঈদের দিন সকাল থেকেই সর্বস্তরের মানুষের সাথে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় করছেন রাষ্ট্রপতি আব্দুর হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
ঈদের ছুটিতে চাকরিজীবী ও ব্যবসায়ী অনেকে প্রতিবারের মতো এবারো সপরিবারে স্বজনদের সাথে ঈদ উদযাপন করতে গ্রাম বাড়ি ফিরে গেছেন।
ঈদ উপলক্ষে দেশের বিভিন্ন সরকারি হাসপাতাল, কারাগার, শিশু পরিবার, ছোটমনি নিবাস, সামাজিক প্রতিবন্ধী কেন্দ্র, সরকারি আশ্রয় কেন্দ্র, শিশু বিকাশ কেন্দ্র, সেফ হোমস, ভবঘুরে কল্যাণ কেন্দ্র ও দুস্থ কল্যাণ কেন্দ্রে উন্নতমানের খাবার পরিবেশন করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ বেতার, বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বেসরকারি টেলিভিশনগুলো ঈদের দিন থেকে কয়েকদিন বিশেষ অনুষ্ঠান প্রচার করবে। ঈদ উপলক্ষে সংবাদপত্রগুলো বিশেষ সংখ্যাও ইতোমধ্যে প্রকাশ করেছে।
জাতীয় পর্যায়ের সঙ্গে সমন্বয় রেখে স্থানীয় পর্যায়ে সিটি কর্পোরেশন, জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে দেশব্যাপী ঈদের অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়েছে।