ভারতের পশ্চিমবঙ্গে ধর্ষণের বীভৎস এক কাহিনী প্রকাশিত হয়েছে। স্থান মেদিনীপুর। আট বছর ধরে বারবার নার্সকে ধর্ষণ নার্সিংহোম মালিকের। যিনি আবার পেশায় চিকিৎসকও। অভিযুক্ত নার্সিংহোম মালিক দেবল রঞ্জন দত্ত। আট বছর ধরে অত্যাচার সহ্য করতে করতে শেষ পর্যন্ত রুখে দাঁড়ালেন নির্যাতিতা।
জানা যায়, ২০০৬ সালে মেদিনীপুরের নার্সিংহোমে নার্সের কাজ শুরু করেন নির্যাতিতা। পরের বছর অসুস্থ হয়ে পড়েন ওই নারীর ভাই। চিকিৎসার খরচ যোগাতে নার্সিংহোম মালিক দেবল রঞ্জন দত্তের শরণাপন্ন হন তিনি। টাকা দেয়ার আশ্বাস দিয়ে মহিলাকে হোটেলে ডেকে পাঠান দেবল রঞ্জন দত্ত। সেখানেই প্রথম বার ধর্ষণ করা হয় তাকে।
এখানেই শেষ নয়। মোবাইলে সেদিনের ছবি তুলে রেখেছিলেন দেবল রঞ্জন দত্ত। সেই ছবি দেখিয়ে শুরু হয় ব্ল্যাকমেলিং। পরেও বারবার ধর্ষণ করা হয় নারীকে। মুখ খুললেই ছবি প্রকাশ করে দেয়ার হুমকি। এমনকি প্রতিবাদ করার সাহসও পাননি ওই নারী।
গত ৩১ মে তার এক বন্ধুর কাছে যাওয়ার জন্য ওই নারীকে নির্দেশ দেন দেবল রঞ্জন দত্ত। এতেই রুখে দাঁড়ান নির্যাতিতা। জানিয়ে দেন কোনোভাবেই এ প্রস্তাব মানবেন না। এবার চেম্বারে ডেকে নির্যাতিতাকে রীতিমতো বন্দুক দেখিয়ে হুমকি দেন নার্সিংহোম মালিক। চলে হুমকির পর হুমকি। কাজও চলে যায় ওই নারীর।
পুলিশকে কাছে গিয়েও হয়রানির শিকার নারী। নির্যাতিতার দাবি, মেদিনীপুর কোতোয়ালি থানা প্রথমে অভিযোগ নিতেই চায়নি। শেষ পর্যন্ত ৮ জুলাই পুলিস সুপারকে গোটা বিষয়টি জানান নারী। সুপারের নির্দেশে অভিযোগ নেয় পুলিশ। এদিন আদালতে গোপন জবানবন্দি দিয়েছেন নির্যাতিতা।