খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলায় মঙ্গলবার গভীর রাতে স্বামীকে আটকে রেখে স্ত্রীকে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। উপজেলার খড়িয়া গ্রামে এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে স্থানীয়দের সহায়তায় একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ ব্যাপারে বুধবার রাতে স্থানীয় একটি ইটভাটার নৈশপ্রহরী মুনসুর আলী গোলদার এবং শ্রমিক আশিস মণ্ডল ও মনিরুল ইসলামকে আসামি করে ধর্ষিতার স্বামী ইব্রাহিম গাজী বাদী হয়ে ডুমুরিয়া থানায় একটি মামলা করেছেন। গতকাল সকালে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার স্ত্রীর ডাক্তারি পরীক্ষা করা হয়েছে।
ডুমুরিয়া থানার ওসি এম মশিউর রহমান মামলার বরাত দিয়ে বলেন, মঙ্গলবার রাত ৩টার দিকে পুলিশ পরিচয় দিয়ে ইব্রাহিমের বাসার দরজা খুলতে বলে মুনসুর, আশিস ও মনিরুল। কিন্তু ডাকাডাকিতে সাড়া না দেয়ায় দরজা ভেঙে তারা বাসার ভেতরে ঢোকে। পরে ইব্রাহীম ও তার দুই শিশুসন্তানকে বাসা থেকে বের করে পাশের একটি বাগানে ধারালো অস্ত্রের মুখে আটকে রাখে আশিস। আর মনিরের উপস্থিতিতে মুনসুর বাসার ভেতর ইব্রাহিমের স্ত্রীকে ধর্ষণ করে।
ওসি জানান, ইব্রাহিম গাজীর স্ত্রীর চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে এলে মুনসুর ও মনির পালিয়ে যায়। তবে বাগানের ভেতর থাকা আশীষকে আটক করে জনতা গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে।