বৃষ্টি উপেক্ষা করে দেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনের উদ্দেশে পর্যটক সমাগম ও পর্যটকবাহী জাহাজ ১লা আগস্ট থেকে যাতায়াত শুরু করেছে। সেন্টমার্টিন ভ্রমণের জন্য শ’ শ’ পর্যটক ও যাত্রীদের ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। ১লা আগস্ট সকাল সাড়ে ৮টায় সেন্টমার্টিনগামী টেকনাফের দমদমিয়া জাহাজঘাটে দেখা যায়, ঢাকা, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে পরিবার পরিজনসহ আসা ভ্রমণপিপাসু পর্যটক সৌন্দর্যমণ্ডিত দেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ দেখার ইচ্ছা নিয়ে টিকিটের জন্য জাহাজ ঘাটে ভিড় করছে। এলসিটি কুতুবদিয়া ও কেয়ারী নামক পর্যটকবাহী জাহাজ ঘাটে বৃষ্টি উপেক্ষা করে পর্যটক ও যাত্রীদের টিকিট নিতে দেখা গেছে। এছাড়া অনেক যাত্রী আগে থেকে টিকিট বুকিং করে রেখেছে। সেন্টমার্টিনের উদ্দেশে এলসিটি কুতুবদিয়া ও কেয়ারী ক্রুজ নামে দুটি জাহাজ পর্যটকদের নিয়ে সকাল ৯টায় ছেড়েছে। জাহাজগুলো টেকনাফের দমদমিয়া থেকে বেসরকারি উদ্যোগে কয়েকটি কাঠের জেটি দিয়ে সেন্টমার্টিন যাতায়াত করছে। অন্যদিকে পর্যটকের জন্য এখনো গড়ে ওঠেনি পর্যটনবান্ধব কটেজ। পর্যটকদের ভিড়ের সুযোগ নিয়ে হোটেল ও রেস্তরাঁয় পণ্যের দাম বাড়িয়ে দেয়া হয়েছে। ঢাকা থেকে সেন্টমার্টিন বেড়াতে আসা তরুণ ইমরান জানান, ঈদ ও সাপ্তাহিক ছুটি থাকায় বন্ধুবান্ধবদের নিয়ে সেন্টমার্টিন ভ্রমণে এসেছি। সেখানে ২ দিন অবস্থান করে সাগরে গোসল ও ঢেউয়ের আনন্দ উপভোগ করবো। এছাড়া কথাসাহিত্যিক হুমায়ুন আহমদের ‘সমুদ্র বিলাস’ তো দেখবোই। এদিকে জাহাজ কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, ১লা ও ২রা আগস্ট পর্যটকবাহী জাহাজ টেকনাফ-সেন্টমার্টিন চলাচল করবে। ৩রা আগস্ট থেকে যাত্রী না হলে যাতায়াত বন্ধ রাখবে। সেন্টমার্টিনের ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল আমিন বলেন, এ রুটে জাহাজ চলাচলের অনুমতি পেয়েছে। টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহ মোজাহিদ উদ্দিন বলেন, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় জাহাজ চলাচলের অনুমতি দেয়া হলেও দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া (৩নং সতর্ক) সংকেত দেখা দিলে জাহাজ চলাচল বন্ধ থাকবে বলে শর্ত দেয়া হয়েছে।