ওবায়দুল ইসলাম রবি, রাজশাহী প্রতিনিধি
পবায় পদ্মার ভাঙ্গন অব্যাহত রয়েছে। গতকাল রবিবার পর্যন্ত পানি উন্নয়ন বোর্ড ভাঙ্গন প্রতিরেধে কোন উদ্দোগ নেয়নি । ফলে এলাকাবাসীর মধ্যে আতংক বিরাজ করছে। পবা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ভাঙ্গন এলাকা পরিদর্শন করেছেন।
গতকাল সরেজমিন পরিদর্শন করে দেখা গেছে, পবার নবগঙ্গা, সোনাইকান্দি ও বসরি এলাকায় ভাঙ্গন অব্যাহত রয়েছে। শহর রক্ষা বাধ থেকে কোন যায়গায় ১০০ মিটার আবার কোন যায়গায় ১৫০ মিটার দুরে ভাঙ্গন অবস্থান করছে। বুলনপুরেও ভাঙ্গন অব্যাহত রয়েছে। সেখানে পানী উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষ থেকে বালুর বস্তা ফেলার উদ্দোগ নেওয়া হলেও পবার নবগঙ্গা, সোনাইকান্দি ও বসরি এলাকায় ভাঙ্গন প্রতিরোধে কোন পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। পবার সোনাইকান্দি থেকে শুরু করে বুলনপুর পর্যন্ত প্রায় তিন কিলোমিটার এলাকা বাধে ভাঙ্গন প্রতিরোধে দ্রুত ব্লক পিচিং করা নাহলে রাজশাহী শহর রক্ষা বাধ রক্ষা করা সম্ভব হবেনা বলে এলাকাবাসী মনে করছেন। এছাড়াও বাধ ভেঙ্গেগেলে রাজশাহী নগরীর মধ্যে পানি ঢুকে যাবে। এই পরিস্থিতিতে নগরীর পশ্চিমাঞ্চলের মানুষ আতংকিত হয়ে পড়েছে। গতকাল রোববার পবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাজ্জাকুল ইসলাম উপজেলার নবগঙ্গা, বসুরী ও সোনাইকান্দি এলাকার পদ্মা নদীর ভাঙ্গন এলাকা পরিদর্শন করেছেন। উল্লেখ্য গত একসপ্তাহ থেকে তীব্র নদী ভাঙ্গনে রাজশাহী নগরীর বুলনপুর জিয়ানগর, হাঢ়ুপুরসহ পবা উপজেলার বসুরী, নবগঙ্গা ও সোনাইকান্দি এলাকার প্রায় ৫ কিলোমিটার এলাকানিয়ে রাজশাহী রক্ষা বাধের তীরবর্তী এলাকা ভাঙ্গন শুরু হয়। এর পর থেকে ওই এলাকার মানুষসহ পুরো রাজশাহীর মানুষের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। গতকাল ভাঙ্গন এলাকা পরিদর্শনের সময় আরো উপস্থিত ছিলেন উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম ও স্থানীয় সদস্য লাল মোহাম্মদসহ এলাকার লোকজন উপস্থিত ছিলেন।