আরিফ উদ্দিন, গাইবান্ধা থেকেঃ ব্রহ্মপুত্রের ভয়াবহ ভাঙনের শিকার হয়েছে গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার গজারিয়া ইউনিয়নের জিয়াডাঙ্গা গ্রামের অর্ধশত পরিবার। এক সপ্তাহে ওই এলাকার অর্ধশত পরিবারের ঘরবাড়ি, বসতভিটা, গাছপালাসহ প্রায় ৫শ’ বিঘা আবাদি জমি নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। এলাকাবাসী জানায়, ভাঙন কবলিত পরিবারগুলো তাদের বসতবাড়ি ও আবাদি জমি হারিয়ে এখন মানবেতর জীবন যাপন করছে। এছাড়া এ গ্রামের আরও শতাধিক পরিবার চরম ভাঙন ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। ভাঙন আতঙ্কে তাদের বসতভিটা, আসবাবপত্র অন্যত্র সরিয়ে নিচ্ছে এবং গাছপালাও কেটে নিয়ে যাচ্ছে তারা। গজারিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মনোতোষ রায় মিন্টু জানান, নদীর পানি কমতে শুরু করায় স্রোতের তীব্রতা বেড়ে গেছে। এ কারেণ ওই গ্রামের তিন কিলোমিটার এলাকাজুড়ে ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল আউয়াল মিয়া জানান, জিয়াডাঙ্গা এলাকায় ব্রহ্মপুত্রের মূল স্রোত তীর ঘেষে প্রবাহিত হচ্ছে। এখানে নদীর গভীরতা কমপক্ষে ৮ থেকে ১০ মিটার। সে কারণেই ভাঙনের তীব্রতা বেড়ে গেছে। ফুলছড়ি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান এলাকাটি নদীগর্ভে বিলীন হওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, ঈদের আগে ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করে ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে জিআর প্রকল্পের তিন মেট্রিক টন চাল বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়া ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।