লক্ষ্মীপুরের পৌর মেয়র আবু তাহেরের ছেলে সাজা পাওয়া কয়েদি এইচ এম বিপ্লবের নবপরিণীতা স্ত্রী সানজিদা খায়ের বলেছেন, তিনি কোনো চাপের মুখে বিপ্লবকে বিয়ে করেননি। বিপ্লবের জন্য প্রয়োজনে তিনি সারা জীবন অপেক্ষা করবেন।
কারাবন্দী বিপ্লবের সঙ্গে সানজিদার বিয়ের ঘটনা দেশজুড়ে আলোচিত হয়। অনেকেই অভিযোগ তোলেন, চাপের মুখে সানজিদা এই বিয়েতে বাধ্য হন। এ ব্যাপারে বক্তব্য জানতে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি আজ মঙ্গলবার এসব কথা বলেন।
সানজিদা বলেন, ‘কোনো চাপ বা অন্য কোনো কারণে বিয়ে হয়নি। বিয়ে হয়েছে দুই পরিবারের পছন্দেই। সব জেনেশুনেই এ বিয়ে হয়েছে। আমি প্রয়োজনে বিপ্লবের জন্য সারা জীবন অপেক্ষা করব।’
|এদিকে, এইচ এম বিপ্লবকে কুমিল্লা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। কারাগারে থাকা অবস্থায় বিয়ের চার দিনের মাথায় আজ দুপুরে তাঁকে লক্ষ্মীপুর থেকে সেখানে পাঠানো হয়।
লক্ষ্মীপুর কারাগারের জেলার মো. জয়নাল আবেদিন জানান, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশক্রমে সাজাপ্রাপ্ত আসামি এইচ এম বিপ্লবকে আজ দুপুরে পুলিশ পাহারায় কুমিল্লা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
একটি সূত্র জানায়, কুমিল্লা যাওয়ার আগে পরিবারের সদস্যরা বিপ্লবের সঙ্গে দেখা করেন।
গত শুক্রবার বিকেলে তাহেরপুত্র এইচ এম বিপ্লব এবং লক্ষ্মীপুর পৌরসভার লামচরী গ্রামের পণ্ডিতবাড়ির আবুল খায়েরের মেয়ে ও লক্ষ্মীপুর সরকারি কলেজের সম্মান দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী সানজিদা খায়েরের মোবাইল ফোনে বিয়ে সম্পন্ন হয়। এরপর রাতে কনের বাড়িতে বরপক্ষের শতাধিক আত্মীয়স্বজন ভোজে অংশ নেয়। পরে কনে সানজিদা খায়েরকে শ্বশুরবাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। রাত ১০টার দিকে মাইক্রোবাসে করে নববধূ জেলা কারাগারে গিয়ে বিপ্লবের সঙ্গে সাক্ষাত্ করেন।
১৯৯৮ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর রাতে সাবেক পিপি ও জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক নুরুল ইসলাম হত্যা মামলায় এইচ এম বিপ্লবকে আসামি করা হয়। এই মামলায় বিপ্লবের ফাঁসির আদেশ হয়। আওয়ামী লীগের আমলে রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের মাধ্যমে তাঁর সাজা মওকুফ করা হয়। এ ছাড়া শিবিরের নেতা মহসিন ও যুবদলের নেতা ফিরোজ হত্যা মামলায় রাষ্ট্রপতি যাবজ্জীবন সাজা কমিয়ে দেওয়ায় বর্তমানে ওই দুই মামলায় বিপ্লব ১০ বছরের কারাভোগ করছেন।