চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে মহিলাসহ কমপক্ষে ২০ জন গুরুতর আহত হয়েছেন।
আজ বেলা ১২টা থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত দীর্ঘ দুই ঘণ্টাব্যাপী এ সংঘর্ষ হয়। এ সময় পুরো জীবননগর রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।
জানা যায়, গত শুক্রবার বিকেলে জীবননগরে চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সংসদ সদস্য ও জাতীয় সংসদের হুইপ সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার সেলুনের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বক্তারা চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সংসদ সদস্য আলী আজগার টগরের বিরুদ্ধে কটূক্তি করে।
এর প্রতিবাদে আজ দুপুর বেলা ১২টার দিকে জীবননগর কলেজ চত্বর থেকে যুবলীগ নেতা খায়রুল বাশার শিবলুর নেতৃত্বে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে শহরের খোদাবক্স মার্কেটের সামনে এসে পৌঁছায়।
এ সময় হুইপ গ্রুপের জীবননগর পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নাসিরুদ্দিন মুন্সী ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেনের নেতৃত্বে ২০/২৫ জন কর্মী মিছিলে বাধা দেয়। এতে উভয় গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। একপর্যায়ে সংঘর্ষ বাধলে পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নাসিরুদ্দীন মুন্সী (৪৭), আওয়ামী লীগ নেতা মোশাররফ হোসেন (৬০), যুবলীগ নেতা খায়রুল বাশার শিবলু (২৮), জীবননগর কলেজ ছাত্রলীগ সভাপতি হাসান (২২) ও কর্মী ডাবলুসহ (২৫) কমপক্ষে ২০ জন আহত হন।
আহতদের স্থানীয় ক্লিনিক জীবননগর ও যশোর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আহতদের মধ্যে দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
এসময় সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যানের মোটরসাইকেল, দুটি বাড়ি ও তিনটি ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। দীর্ঘ দুই ঘন্টাব্যাপী ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ চলে। এতে জীবননগর শহর রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।
পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। জীবননগর শহরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পুরো শহরজুড়ে এখন ব্যাপক উত্তেজনা বিরাজ করছে। যে কোনো সময় বড় ধরণের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হতে পারে বলে এলাকাবাসী আশঙ্কা করছেন।
জীবননগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ন কবির ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ঘটনা জানার পরে আমি ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছি। তবে এ ব্যাপারে অভিযোগ এলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। শহরের বর্তমান পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি।