হংকংয়ের চীনা তরুণ চাও হোই-লিয়াং মা-বাবার প্রিয় সন্তান। তার সব চাওয়াই পূরণ করেছেন তারা। কিন্তু একটা সময় লিয়াংয়ের বিলাসী চাওয়া পূরণ করতে অপারগতা প্রকাশ করলেন তারা। ছেলেকে বললেন, উপার্জনের পথ খুঁজতে। আর এটাই কাল হয়ে দাঁড়ায় তাদের জন্য। ত্রিশ বছর বয়সী হোই-লিয়াং তার মা-বাবাকে হত্যা করলো নিদারূণ পৈশাচিকতায়।
লিয়াং তার মা-বাবাকে টুকরো টুকরো করে কাটে। তারপর সেগুলো চালের সঙ্গে খিচুড়ির মতো রান্নাও করে। তবে মাথা দু’টি ফ্রিজে রেখে দেয়। পিতা-মাতা হত্যার দায়ে লিয়াংয়ের বিচার চলছে আদালতে। তার ফাঁসির দাবি করা হয়েছে।
এদিকে, লিয়াং দাবি করেছে, তার নৃশংস কর্মকাণ্ডের জন্য মা-বাবাই দায়ী। তারা তাকে সঠিকমতো গড়ে তোলেননি। কিন্তু তার বন্ধুরা জানিয়েছে, তার মা-বাবা তাকে সবকিছু দিয়েছেন। তাদের দেওয়া টাকায় আলাদা ফ্ল্যাটে বিলাসবহুল জীবনযাপন করছিল লিয়াং। এক পর্যায়ে ছেলেদের চাহিদার টাকা দিতে অপারগ হওয়ায় তাকে চাকরি খুঁজতে বলেছিলেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে বাবা চাও উইং-কি (৬৫) ও মা সিন ইউয়েত-ইয়েকে (৬২) হত্যা করার সিদ্ধান্ত নেয় সে। তার এই দুষ্কর্মে সহায়তা করে তার এক বন্ধু।
বৃদ্ধ দম্পতি নিখোঁজ হওয়ার পর পুলিশ অনুসন্ধানে নামে। অনেক খোঁজাখুঁজির পর জানা যায়, নিজেদের সন্তানই তাদের হত্যা করেছে