বেশি বয়সের কারণে কর্মক্ষমতা হারানো মানুষের ভারে ২০২০ সালের মধ্যে জাপান ও জার্মানিসহ বিশ্বের ১৩ দেশের অর্থনীতির গতি শ্লথ হয়ে যেতে পারে। আর ২০৩০ সালে গিয়ে এমন দেশের সংখ্যা পৌঁছতে পারে ৩৪টিতে; এর মধ্যে থাকতে পারে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য এবং চীনও। সম্প্রতি ক্রেডিট রেটিং এজেন্সি মুদি’সের এক গবেষণায় এই আশঙ্কার কথা বলা হয়েছে।
সংস্থাটি জানিয়েছে, গবেষণায় দেখা গেছে, ২০২০ সালের মধ্যে ১৩টি দেশের জনসংখ্যার ৫ ভাগের ১ ভাগেরও বেশি মানুষ ৬৫ বছব বা ৬৫ বছরের উপরে (সুপার এইজে) চলে যেতে পারে। ফলে কর্মক্ষমতা হারানো মানুষের সংখ্যা বেড়ে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি কমতে পারে।
বার্তাসংস্থা ফাইন্যান্সিয়াল টাইমস, ডেইলি মেইল ও ওয়েলথ ম্যানেজার তাদের প্রতিবেদনে জানিয়েছে, সুপার এইজের ১৩ দেশের তালিকায় পড়েছে জাপান, জার্মানি, মালটা, ফিনল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস, সুইডেন, ইতালি, পর্তুগাল, বুলগেরিয়া, ক্রোয়েশিয়া, স্লোভেনিয়া ও গ্রিস।
২০৩০ সালের মধ্যে এর সঙ্গে যুক্ত হতে পারে চীন, হংকং, দক্ষিণ কোরিয়া, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, নিউজিল্যান্ড, স্পেন, অস্ট্রিয়া, বেলজিয়াম, কিউবা, ফ্রান্স, বুলগেরিয়া, কানাডা, পোলান্ড, সিঙ্গাপুর, সুইজারল্যান্ড, সুইডেন, ডেনমার্ক, থাইল্যান্ড, রাশিয়া, ব্রাজিল, শ্রীলঙ্কাসহ আরো কয়েকটি দেশ।
ওয়েলথ ম্যানেজারের প্রতিবেদনে জানানো হয়, জাপান যে ২০২০ সালের মধ্যে অর্থনৈতিক সংকটে পড়তে যাচ্ছে এতে কোনো সন্দেহ নেই। কারণ মুদি’সের গবেষণায় পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে, আগামী দশকের মধ্যে জাপানে সুপার এইজ মানুষের সংখ্যা পৌঁছবে মোট জনসংখ্যার ২৮.৬ শতাংশে। আর ২০৩০ সালের মধ্যে তা ৩০.৯ শতাংশে অবস্থান করবে।
জামার্নিতে ৬৫+ মানুষের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াবে ২১.৪ শতাংশ থেকে প্রায় ২৪ শতাংশে। জাপানের চেয়ে জার্মানিতে এই অবস্থা আরো বেশি গুরুতর। কারণ জাপানের চেয়ে সেখানকার ৪ গুণ কম ৬৫+ মানুষ কাজ করে।
গবেষণা প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রে সুপার এইজ বুড়োদের সংখ্যা হবে মোট জনসংখ্যার ১৪.৭ শতাংশ এবং ২০২০ সালে ১৬.২ শতাংশ । আর ২০৩০ সালে তা গিয়ে দাঁড়াবে ২০.১ শতাশে। যুক্তরাজ্যে ২০১৫ সালে ৬৫+ মানুষের সংখ্যা দাঁড়াবে ১৮.১ শতাংশে। আর ২০৩০ সালে ২১.৭ শতাংশ।
মুদি’সের তথ্যনুযায়ী, ২০১৫ সালে চীনে সুপার এইজ বুড়োদের হার হবে ৯.৫ শতাংশ। আর ২০৩০ সালে তা অবস্থান করবে ১৬.২ শতাংশে।