ঢাকা: মুহূরী সেচ প্রকল্পেসহ সেচ ব্যবস্থাপনার আধুনিকায়ণের জন্য অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) ও এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) মধ্যে ৪৬ মিলিয়ন ডলারের একটি ঋণচুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টায় শেরে বাংলানগরের পরিকল্পনা কমিশনে এনইসি-২ সম্মেলন কক্ষে এই ঋণচুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব মোহাম্মদ মেজবাহউদ্দিন ও এডিবি’র কান্ট্রি ডিরেক্টর কাজুহিকো হিগুচির মধ্যে এই ঋণচুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
একই সময়ে এডিবি ও বাংলাদেশ সরকারের মধ্যে দুটি ঋণচুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। ‘ইরিগেশন ম্যানেজমেন্ট ইম্প্রুভমেন্ট’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় এই ঋণ দেবে এডিবি। প্রকল্পের মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৫৭ দশমিক ৯ মিলিয়ন ইউএস ডলার।
প্রকল্পের অবশিষ্ট অর্থ বাংলাদেশ সরকার ও প্রকল্পের সুবিধাভোগীদেরকে যোগান দিতে হবে।
প্রকল্পটি পানি উন্নয়ন বোর্ড ২০১৪ থেকে ২০১৯ সাল মেয়াদে বাস্তবায়ন করবে। ফেনী জেলার পাঁচটি ও চটগ্রামের মিরেশ্বরাই উপজেলায় প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হবে। প্রকল্পের আওতায় মুহূরী সেচ প্রকল্পের ভৌত অবকাঠামো পুনর্বাসন, খাল পুনঃখনন, বাঁধ মেরামত, ভূ-গর্ভস্থ পাইপ লাইনের মাধ্যমে সেচের পানি সরবরাহকরণ ও পাম্প মেশিন বিদ্যুতায়নের কাজ করা হবে।
প্রকল্প পরিচালক ও বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকৌশলী আব্দুল লতিফ জানান, প্রকল্পের আওতায় ৪৬০ কিলোমিটার খাল খনন করা হবে। এছাড়া চাষীদের সুবিধার জন্য প্রিপেইড মিটার স্থাপন করা হবে। প্রকল্পের আওতায় ৯৫০টি পাম্প থাকবে।
এডিবি’র দেওয়া এডিএফ ঋণটি সহজ শর্তে যা ৫ বছর গ্রেস পিরিয়ডসহ ২৫ বছরে পরিশোধ করতে হবে। বার্ষিক সুদের হার ২ ভাগ।
ঋণচুক্তি প্রসঙ্গে হিগুচি বলেন, এটা একটা আনন্দঘন সময়। দুটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পে ঋণচুক্তি স্বাক্ষর করতে পেরে আমরা
আনন্দিত। প্রকল্পের মাধ্যমে নদীর তীরবর্তী সাধারণ মানুষকে রক্ষা যাবে।
তাদের কৃষি জমিকে ভাঙ্গনের কবল থেকে রক্ষা করা হবে। এছাড়া ‘ইরিগেশন ম্যানেজমেন্ট ইম্প্রুভমেন্ট’ প্রকল্পের মাধ্যমে বাংলাদেশের সেচ ব্যবস্থাপনা আধুনিকতার ছোঁয়া লাগবে।’