ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গ মাইক্রোসফটের প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটসকে চ্যালেঞ্জ ছুুড়ে দিয়ে বলেছিলেন, মাথায় বরফ-শীতল ঠান্ডা পানি ঢালতে হবে, না হলে ১০০ ডলার দান করতে হবে। বিল গেটস মাথায় পানি ঢালার চ্যালেঞ্জটাই নিলেন।
বার্তা সংস্থা এএফপির এক খবরে বলা হয়েছে, ‘লু গেরিগ রোগ’ সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি ও এই রোগ প্রতিরোধে তহবিল সংগ্রহের জন্য ‘বালতিভর্তি বরফ পানি মাথায় ঢালার প্রতিযোগিতা’ যুক্তরাষ্ট্রে জনপ্রিয় হয়েছে।
এই প্রতিযোগিতায় কোনো সেলিব্রেটি বা তারকাকে বরফ পানিতে নিজেকে ভিজিয়ে অন্যকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিতে হয়। আর যাঁরা এই চ্যালেঞ্জ নিতে অস্বীকৃতি জানাবেন, তাঁদের অ্যামিওট্রফিক ল্যাটেরাল স্কেলেরোসিস (এএলএস) সংস্থায় অর্থ সাহায্য করতে হয়। ‘লু গেরিগ রোগ’ রোগের বিরুদ্ধে লড়ছে যুক্তরাষ্ট্রের সংস্থা এএলএস। এটি প্রোগ্রেসিভ নিউরোডিজেনারেটিভ রোগ।
জাকারবার্গকে চ্যালেঞ্জ ছুড়েছিলেন নিউ জার্সির গভর্নর ক্রিস ক্রিস্টি। ক্রিস্টির ছুড়ে দেওয়া চ্যালেঞ্জ হাসিমুখে গ্রহণ করে জাকারবার্গ নিজের মাথায় বরফভর্তি এক বালতি পানি ঢেলে বিল গেটসকে ছুড়ে দিয়েছিলেন পরবর্তী চ্যালেঞ্জ। এ ছাড়া ফেসবুকের নির্বাহী শেরিল স্যান্ডবার্গ ও নেটফ্লিক্সের পরিচালক রিড হেস্টিংসকেও চ্যালেঞ্জ ছুড়েছিলেন ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা।
জাকারবার্গ চ্যালেঞ্জ নেওয়ার জন্য বিল গেটসকে মাত্র ২৪ ঘণ্টা সময় বেঁধে দিয়ে বলেছিলেন, ‘এই চ্যালেঞ্জ পারলে নাও। না হলে তোমাদের এএলএস সংস্থায় দান করতে হবে অথবা মাথায় জল ঢালা আবার অর্থ দান দুটোই করতে হবে।’
এই চ্যালেঞ্জ নিয়ে ইতিমধ্যে তারকা ব্যক্তিরা পানিতে ভেজার দৃশ্য ইউটিউবে পোস্ট করেছেন। পানিতে নিজেকে ভেজানোর পর যেহেতু অন্যকে চ্যালেঞ্জ ছুুড়ে দেওয়া যায়, তাই এ সুযোগটি নিয়েছেন বিল গেটস। তিনি চ্যালেঞ্জ ছুুড়েছেন টেসলার প্রধান নির্বাহী এলন মাস্ককে।
এদিকে অ্যাপলের প্রধান নির্বাহী টিম কুককে এই চ্যালেঞ্জ ছুড়েছিলেন অ্যাপলের বিপণন বিভাগের প্রধান ফিল শিলার। কুকও এই চ্যালেঞ্জ নিতে পিছপা হননি। মাথায় বরফ-পানি ঢেলে তিনি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন ডিজনির প্রধান নির্বাহী বব ইগারকে।
বিল গেটস সচেতনতা বাড়াতে জাকারবার্গের চ্যালেঞ্জ নেওয়াকেই শ্রেয় মনে করেছেন। শুধু বিল গেটস নন, অ্যাপলের প্রধান নির্বাহী টিম কুক, আমাজনের প্রধান নির্বাহী জেফ বেজোসও এই চ্যালেঞ্জ নিয়েছেন। অ্যামিওট্রফিক ল্যাটেরাল স্কেলেরিওসিস (এএলস) নামের নিউরোডিজেনারেটিভ একটি রোগ। এ রোগ সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ানোর জন্য যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন ক্ষেত্রে খ্যাতিমান ব্যক্তিরা এই চ্যালেঞ্জ নিয়েছেন। এ তালিকায় রয়েছেন মার্ক জাকারবার্গ, মাইক্রোসফটের প্রধান নির্বাহী সত্য নাদেলা, মার্কিন টিভি তারকা জিমি ফ্যালন, সংগীতশিল্পী জাস্টিন টিম্বারলেক, অভিনেতা মাইক রকিসহ যুক্তরাষ্ট্রের তারকা খেলোয়াড়েরা। রবার্ট কেনেডির স্ত্রী ৮৬ বছর বয়সী ইথেল কেনেডি এই চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাকে। ওবামা এই চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেননি। তিনি অর্থ সাহায্যের বিষয়টিকেই বেছে নিয়েছেন।