সিলেটে যুবলীগ নেতার ভাইয়ের বিয়েতে ছাত্রদলের দুই গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ভাঙচুর করা হয় বেশ কয়েকটি গাড়ি। তবে, পুলিশ আসার আগে ছাত্রদলের দুই গ্রুপের নেতারা পালিয়ে যায়। ঘটনায় উভয়পক্ষের ১০ জন আহত হয়েছে। বিকাল সোয়া ৩টায় নগরীর সুবিদবাজারে সানরাইজ কমিউনিটি সেন্টারে এ সংঘর্ষ ঘটে। আহতদের মধ্যে মহানগর ছাত্রদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি মাহবুব কাদির শাহীও রয়েছেন বলে জানা গেছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, নগরীর পাঠানটুলা সানরাইজ কমিউনিটি সেন্টারে মহানগর যুবলীগের আহ্বায়ক আলম খান মুক্তির চাচাতো ভাই শরিফ খান মনির বিয়ের অনুষ্ঠানে আসেন ছাত্রদল নেতা জিল্লুল হক জিলু খুনের মামলার প্রধান আসামি মহানগর ছাত্রদলের সিনিয়র সহসভাপতি মাহবুব কাদির শাহীসহ নেতা-কর্মীরা। এ সময় নিহত জিলুর সহপাঠী ছাত্রদল নেতা-কর্মীরা বিয়ের সেন্টারে ঢোকার পথে তাদের ওপর হামলা চালায়। হামলায় শাহীসহ কয়েক নেতাকর্মী আহত হন। তবে জিলু গ্রুপের কর্মীরা জানিয়েছেন, এম ইলিয়াস আলীর গুমের দিনে তারা ওই এলাকা দিয়ে মিছিল নিয়ে যাচ্ছিলেন। এ সময় কমিউনিটি সেন্টারের ভেতর থেকে তাদের ওপর হামলা চালানো হয়। মাহবুব কাদির শাহী গ্রুপের নেতাকর্মীদের হামলার পর তারা পাল্টা হামলা চালায়। সংঘর্ষ চলাকালে উভয় পক্ষে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। এ সময় কমিউনিটি সেন্টারের সামনে থাকা বেশ কয়েকটি যানবাহনে ভাঙচুর চালানো হয়েছে। পরে পুলিশ আসার আগেই উভয় গ্রুপের কর্মীরা পালিয়ে যায়। সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার রহমত উল্লাহ জানিয়েছেন, সংঘর্ষ চলাকালে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। তিনি বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছার আগে উভয় গ্রুপের লোক পালিয়ে যায়। এদিকে, সিলেট মহানগর যুবলীগের আহ্বায়ক আলম খান মুক্তি জানিয়েছেন, বরের পিতা সাবেক বিএনপি নেতা হওয়ায় বিয়ের অনুষ্ঠানে বিএনপি ও ছাত্রদলের নেতাদের দাওয়াত দেয়া হয়।