আসামের বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটেছে। এ পর্যন্ত বন্যায় এক শিশুর প্রাণহানি ঘটেছে। ব্রহ্মপুত্র ও এর শাখানদীগুলো দুকূল উপচে পড়ায় কাজিরাঙ্গা ন্যাশনাল পার্ক ও আসামের উজানের বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। কয়েক দিন ধরে চলা বিরামহীন বৃষ্টিপাতের কারণে এ বন্যা দেখা দিয়েছে বলে ধারণা করছেন বিশেষজ্ঞরা।
লখিমপুর, দেমাজি ও সোনিতপুর এলাকায় বন্যা পরিস্থিতির মারাত্মক অবনতি ঘটেছে।
আসাম ট্রিবিউন আজ জানিয়েছে, বৃষ্টির কারণে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বেড়ে যাওয়ায় কাজিরাঙ্গা ন্যাশনাল পার্ক (কেএনপি)’র নিম্নাঞ্চল তলিয়ে গেছে।
উপ-কমিশনার গৌরব বোথরা জানান, রাঙ্গা নদীর উপচে পড়া পানিতে লখিমপুরের প্রায় এক লাখ লোক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এলাকাগুলো হচ্ছে- ঢাকুয়াখোনা, নাওবোইচা, বিহ্পুরিয়া, নারায়ণপুর, উত্তর লখিমপুর ও সুবনসিরি।
এছাড়াও শ্রীঘড়িয়া, কোহা, কুমোতিয়া ও গাইনদীর পানি উপচে পড়ায় বেশ কয়েক হেক্টর এলাকার শস্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
আসাম ট্রিবিউনের প্রতিবেদনে বলা হয়, ঢাকুয়াখোনা সার্কেলের কুমোতিয়া ও জিদাহোল নদীর পানির উপচে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে।
এদিকে ঢেমাজি এলাকায় ৭০টির বেশি গ্রাম ব্রহ্মপুত্র নদের পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে।
ব্রহ্মপুত্র নদের উপচে পড়া পানিতে সোনিতপুর এলাকার গোহ্পুর মহকুমার তিনটি পঞ্চায়েত-বোদোলোনি, বোটামুলি ও পাকেন এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।