খলিল মোহাম্মদ, কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি ঃ কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে পি.ডি.বির কার্যক্রম চলাকালীন সময়ে সরকার রাজস্ব খাতে প্রচুর লোকসান হওয়ার সুবাদে কিশোরগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির উপর হস্তান্তর করে। জানা যায়, কিশোরগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি ১৯৯০ সনে কিশোরগঞ্জ জেলার ১১টি উপজেলা কটিয়াদী,কিশোরগঞ্জ সদর, ইটনা,মিঠামইন, হোসেনপুর, পাকুন্দিয়া, করিমগঞ্জ,তাড়াইল, অষ্টগ্রাম এবং নিকলী,ও ময়মনসিংহ জেলার নান্দাইল উপজেলায় নতুনভাবে পল্লী বিদ্যুৎতের কার্যক্রম শুরু করেন। আই.ডি.এ(ফেজ-৩ এ),সমিতি রেজি: তারিখ ২৫/০২/১৯৮৯ইং ২৫৫৫ বর্গ কিলোমিটার আয়তন, মোট ইউনিয়ন ৯৯টি, মোট গ্রাম ১২৪৬টি, বিদ্যুতায়িত গ্রাম ৬৭টি, নির্মিত লাইন ৩৮০১.৬৬ কি:মি: বিদ্যুতায়িত আয়তন লাইন ৩৪২৮.৭০ কি:মি: সুযোগ সুবিধা সৃষ্টি ১৪০৭৫৩ জন, মোট গ্রাহকের সংখ্যা ১৩৩০৩১ জন আবাসিক ১০৮৮৪৩, বাণিজ্যিক ১৫৬৯৭ জন, সেচ ৩৮৭৮ জন, শিল্প ১৯২৭ জন,অন্যান্য ২৬৮৬টি অন্তরভূক্ত গ্রাম ১৫৯৮টি,বিদ্যুতায়িত ৬৯৮টি তৎকালীন সময়ে পল্লী বিদ্যুতের লোকজন কটিয়াদী উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম এলাকায় পরিদর্শন করিয়া পি.ডি.বি কর্তৃক স্থাপনকৃত খুটিসহ নতুন খুটি স্থাপনের কাজ করেন। ডিজাইন মোতাবেক খুটি স্থাপনের কথা থাকলেও কটিয়াদী পৌর শহরে কামারকোনা (সরকারী বনায়ন নার্সারী সংলগ্ন) এলাকায় ১৫ টি পরিবার বসবাস করে। উক্ত এলাকায় খুটি স্থাপনের সিদ্ধান্ত থাকা সত্বেও অজ্ঞাত কারনে ঐ এলাকায় খুটি স্থাপন না করিয়া অন্যত্র সরিয়ে নেয়। যুগযুগ ধরে ঐ বাড়ীগুলোতে আলো পৌছায় নাই। অত্যান্ত দুঃখের বিষয় হলেও সত্য যে বিদ্যুতের প্রাণ কেন্দ্রের এলাকায় ১৫টি পরিবারের মাঝে বিদ্যুৎ নেই এই কথাটা বিশ্বাস করা সম্ভব হচ্ছে না। এ বিষয়ে সরজমিনে এলাকায় গেলে গ্রামবাসীদের মধ্যে কামারকোনা গ্রামের আঃ মোতালিব,সিরাজ উদ্দিন, আঃ হাসিম, তারা মিয়া, রিকন মিয়া, সুফিয়া খাতুন, মল্লিক মিয়া, ফরিদা খাতুন, রাজ মোতালিবসহ শতধিক গ্রামবাসী জানায় বিদ্যুৎ পাওয়ার অনেক আশা থাকলেও কয়েকযুগ ধরে বিদ্যুৎ থেকে আমরা বঞ্চিত। তারা জানান জাতীয় সংসদ সদস্য, উপজেলা পরিষদ, পৌরসভা, ইউনিয়ন নির্বাচন আসলে জনপ্রতিনিধিরা শুধু আমাদেরকে আশ্বাস দেন। আমাদের বাড়ীগুলোতে বিদ্যুৎ সরবরাহ দিবেন বলে আশ্বাস দেন। নির্বাচনের পর তাদের প্রতিশ্র“তি কথা আর মনে রাখেন না। এ ব্যাপরে বিদ্যুৎ সংযোগ পাওয়ার লক্ষ্যে কিশোরগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি কটিয়াদী যোনাল অফিস বরাবরে কামারকোনা গ্রামের আঃ মোতালিবের ছেলে মোঃ নজরুল ইসলাম গ্রাহকদের পক্ষে বিগত ০৯/০৫/২০০৪ সালে সমিতির নির্ধারিত ফরমে আবেদন ও পরবর্তীতে খুটির জন্য বিগত ০২/০৫/২০০৪ সালে স্থানীয় পৌরসভার মেয়র আলহাজ্ব তফাজ্জল হোসেন খানের সুপারিশক্রমে আবেদন দাখিল করেন। পল্লী বিদ্যুৎ উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে কয়েক দফায় আবেদন করার পরও পবিস কর্তৃপক্ষ ৫ জনকে বিদ্যুৎ প্রদান করা যায় মর্মে কতিপয় শর্ত জোড়ে বিগত ১৫/০৫/২০০৬ কিপবিস/ ৩০০-১০/২০০৬/২০৫নং স্মারক মূলে জনৈক নজরুল ইসলামকে পত্র দেন। পত্রের মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার একদিন পূর্বে হস্তগত হয়। এ আদেশ শুধু মাত্র কাগজে কলমে হয়েছে। দীর্ঘ ৮ বৎসরেও বিদ্যুতের মুখ দেখেনি গ্রাহক গন। হতাশায় বারবার আবেদন নিবেদন করেও গ্রাহকরা এর কোন প্রতিকার পাচ্ছে না। বাতির নিচে অন্ধকার আর আদেশের নিচে বলি হল বিদ্যুৎ সংযোগ। ঐ এলাকায় বিদ্যুৎ না থাকায় এলাকায় চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই সহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকান্ড বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ ব্যাপারে কটিয়াদী পল্লী বিদ্যুতের ডি.জি.এম মোঃ ইরশাদ জানান, কটিয়াদী পৌরশহরে কামানকোণা সহ ১৫টি গ্রামে বিদ্যুতের খুটি দেওয়ার সিদ্ধান্ত হলেও বিদ্যুৎ পাইনি এবং এ বিষয়ে তিনি পৌর শহরের কামারকোণা এলাকায় বিদ্যুৎ পাওয়ার বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না এমনকি তিনি ফাইন না দেখেই মুখ খুলতে নারাজ। এ ব্যাপারে এলাকাবাসী মাননীয় প্রধান মন্ত্রী, বিদ্যুৎ প্রতি মন্ত্রী, বিদ্যুৎ সচিব, আর.ই.বি বোর্ডের চেয়ারম্যান সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্থক্ষেপ কামনা করছেন।