ঘুম থেকে উঠে ধুমায়িত এককাপ চা যেন পরম শান্তির ব্যাপার। মাথাধরা, ঘুমে ঝিমনি, ক্লান্তি দুর সব কিছুরই যেন দাওয়ায় এককাপ চা। শরীর এবং মন দুটিই নাকি ভাল করে এই চা। আসলেই কি তাই? সম্প্রতি এমনই প্রশ্ন উঠেছে এক রসায়ন পরীক্ষাগারে।
স্বয়ং চা বাগানই তাদের বিতর্কীত চাষ পদ্ধতি দিয়ে জন্ম দিচ্ছে এসব প্রশ্নের। বিজ্ঞানীদের পরীক্ষায় দেখা গেছে অত্যান্ত কড়া রাসায়নিক ও কীটনাশক মেশানো থাকে এই চায়ে। নিয়মিত মানুষের শরীরে প্রবেশ করলে হতে পারে কঠিন অসুখ। আসুন দেখে নিই চায়ের ক্ষতিকর কি কি দিক রয়েছে…
কীটনাশকের উপস্থিতি
জানা গেছে চা কে খাবার উপযোগী করার আগে পাতা ও কুড়িকে মোটেও ভালভাবে ধোয়া হয় না । ফলে এতে মিশে থাকে চাষের সময় দেয়া কীটনাশক। এটি মানবদেহের জন্য হুমকিই বটে।
টি ব্যাগে প্লাস্টিক
দ্রুত আর ঝামেলা ছাড়াই চা বানাতে আমরা বেশি পছন্দ করি টি ব্যাগ।কিন্তু আমরা কি জানি এই সুযোগে আমাদের দেহে ঢুকে পড়ছে প্লস্টিকের ক্ষতিকর উপাদান। বেশিরভাগ টি ব্যাগের প্লাস্টিক গরম পানিতে গলে চায়ের সাথে মিশে সহজেই প্রবেশ করে আমাদের শরীরে।
ফ্লেভার
যেসব চায়ের প্যাকেটে ন্যাচারাল ফ্লেভার লেখা থাকে তার মধ্যে বেশির ভাগই বিভিন্ন গাছ-গাছড়ার উপাদান থাকে। এতে অ্যালার্জির সৃস্টি হতে পারে।
কৃত্রিম ফ্রেভার
পরীক্ষায় দেখা গেছে চায়ের পাতা থেকে চা প্রস্তুতের সময় পর্যন্ত এর নিজস্ব কোন গন্ধ থাকে না বললেই চলে। তাই চায়ের আকর্ষণ বাড়াতে নানা রকম ফ্রেভার ব্যবহার করা হয়ে থাকে। আর এই কৃত্রিম ফ্লেভার তৈরি হয় সাধারণত নানা রাসায়নিক পদার্থ দিয়ে। যার অধিকাংশই মানবদেহের জন্য হুমকির স্বরুপ।
তাই চা কেনার আগে একটু যাচাই বাছাই করাই বাঞ্চনীয়।