বরিশাল প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক সমকালের ব্যুরো চিফ পুলক চ্যাটার্জিকে নির্মমভাবে কুপিয়ে জখম করেছে সন্ত্রাসীরা। গত রাত ১টায় তার বরিশাল কলেজস্থ বাসার সামনে এ ঘটনা ঘটে। আশংকাজনক অবস্থায় তাকে শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করা হলে রাতেই তার শরীরে অস্ত্রোপচার করা হয়। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তার মাথার আঘাতটি গুরুতর। এ ঘটনায় পুলিশ একজনকে আটক করেছে। সাংবাদিক পুলক চ্যাটার্জির উপর হামলার ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছে বরিশালের সাংবাদিক সংগঠনগুলোসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন।
পুলক চ্যাটার্জির ভাই দিপক চ্যাটার্জি জানান, পুলক প্রতিদিনই অফিসের কাজ সেরে ১২-১টার মধ্যে বাসায় আসেন। রাত ১টায় বাসার যখন সবাই পুলকের জন্য অপেক্ষা করছিল তখন গেটের বাইরে ডাক চিৎকার শুনে পুলকের স্ত্রী দরজা খোলেন। তিনি দেখতে পান তার স্বামীকে ৩-৪ জন মিলে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপাচ্ছে। এ সময় তিনি তার স্বামীকে বাঁচাতে জাপটে ধরলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। এ সংবাদ দ্রুত সাংবাদিক মহলে ছড়িয়ে পড়লে চুটে আসেন সাংবাদিকরা। দ্রুত পুলকের শেবাচিম হাসপাতালে নেয়া হয়। ছুটে আসেন পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। রাত তিনটায় তার দেহে অস্ত্রোপচার করা হয়। সার্জারি বিশেষজ্ঞ ডা. জহিরুল হক মানিক জানান, পুলকের মাথার আঘাতটি গুরুতর।
এদিকে অস্ত্রপোচারের আগে পুলকের জ্ঞান ছিল। এস আই মহিউদ্দিন জানান, সাংবাদিক পুলক চ্যাটার্জি হাসাপাতালে ১ সন্ত্রাসীর নাম বলে গেছেন। তাকে হাসপতালে আগত দর্শনার্থীর মাঝে পাওয়া গেছে। সুবল নামের সেই যুবক পুলকের নিকটাত্মীয়। বর্তমানে সে পুলিশের হেফাজতে আছে।