ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় আরো ২৪ ঘণ্টার অস্ত্রবিরতি শুরু করেছে হামাস ও ইসরাইল।
সোমবার মিশরের রাজধানী কায়রোতে এক বৈঠকে উভয়পক্ষের কর্মকর্তারা অস্ত্রবিরতির এ মেয়াদ বাড়াতে সম্মত হন।
এর আগে বুধবার থেকে শুরু হওয়া পাঁচ দিনের অস্ত্রবিরতি সোমবার স্থানীয় সময় মধ্যরাতে শেষ হয়। মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই উভয়পক্ষ আরো ২৪ ঘণ্টার এ অস্ত্রবিরতিতে সম্মত হয়।
এদিকে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বলেন, “হামাস পুনরায় রকেট হামলা শুরু করলে ইসরাইলও এর দাঁতভাঙা জবাব দেবে।”
তিনি আরো বলেন, “সামরিক বাহিনী সবরকম পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত রয়েছে।”
গত ৮ জুলাই গাজায় ইসরাইলি হামলা শুরু হওয়ার পর এ পর্যন্ত দুই হাজার ১৬ ফিলিস্তিনি ও ৬৬ ইসরাইলি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন কয়েক হাজার ফিলিস্তিনি। হতাহত ব্যক্তিদের অধিকাংশই বেসামরিক নাগরিক।
মিশরের মধ্যস্থতায় গত বুধবার পাঁচ দিনের অস্ত্রবিরতি কার্যকর হয়। এর আগে তিন দিনের আরেকটি অস্ত্রবিরতি হয়েছিল।
এবারের অস্ত্রবিরতিতেও মধ্যস্থতা করেছে মিশর। দেশটির সরকার বলেছে, হামাস ও ইসরাইল আরো এক দিনের জন্য অস্ত্রবিরতি বাড়াতে রাজি হয়েছে।
মিশর আরো বলেছে, ইসরাইল ও ফিলিস্তিন প্রতিনিধিরা একটি স্থায়ী চুক্তির জন্য আলোচনা অব্যাহত রাখতেও সম্মত হয়েছে।
ফিলিস্তিনের আলোচক কাইস আব্দুল করিম রোববার বলেন, “গাজায় হামাস ও অন্যান্য সংগঠনের নিরস্ত্র করার নিশ্চয়তা চাচ্ছে ইসরাইল। আর ফিলিস্তিনের পক্ষ থেকে পূর্বশর্ত ছাড়াই গাজার ওপর আরোপিত ইসরাইল ও মিশরের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের আহ্বান জানানো হয়েছে।”
হামাস বলেছে, তারা অস্ত্র ত্যাগ করবে না। অন্যদিকে ইসরাইল জোর দিয়ে বলেছে, অস্ত্রপাচার প্রতিরোধে গাজার কয়েকটি সীমান্ত ক্রসিং তারা অবশ্যই নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রাখবে।
গাজায় নির্মাণ সামগ্রী আমদানি নিয়েও ইসরাইলের উদ্বেগ রয়েছে। তাদের সন্দেহ, হামাস এসব সামগ্রী তাদের টানেল নির্মাণের কাজে লাগাবে।
তবে মধ্যপ্রাচ্য দূত রবার্ট সেরি বলেন, গাজায় আমদানিকৃত নির্মাণ সামগ্রীর ওপর নজরদারি করতে জাতিসংঘ প্রস্তুত।
তিনি বলেন, “গাজায় নজিরবিহীন ধ্বংসযজ্ঞের’ জন্য বিপুল মানবিক সাহায্য প্রয়োজন বিধায় নির্মাণ সামগ্রী আমদানি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।”
এ পর্যন্ত গাজায় প্রায় ১৬ হাজার ৮শ’ বাড়িঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। ফলে প্রায় এক লাখ ফিলিস্তিনি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।