যুক্তরাষ্ট্রের হাতে তুলে দেওয়া হবে না—এমন নিশ্চয়তা না পাওয়া পর্যন্ত মার্কিন গোপন নথি ফাঁসকারী প্রতিষ্ঠান উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ লন্ডনের ইকুয়েডর দূতাবাস ছাড়বেন না। আজ মঙ্গলবার অ্যাসাঞ্জের আইনজীবী জেনিফার রবিনসন এ কথা জানান। বার্তা সংস্থা এএফপির খবরে এ কথা জানানো হয়।
যুক্তরাজ্যের ইকুয়েডর দূতাবাসের ভেতরে দুই বছর ধরে অবস্থান করা অ্যাসাঞ্জ গতকাল সোমবার সংবাদ সম্মেলন করে জানান, তিনি ফুসফুসের সমস্যা ও হূদরোগে আক্রান্ত হয়ে পড়েছেন। শিগগিরই তিনি দূতাবাস ছেড়ে দেওয়ার কথা ভাবছেন।
অ্যাসাঞ্জের আইনজীবী জেনিফার রবিনসন অস্ট্রেলিয়ান ব্রডকাস্টিং করপোরেশনকে জানান, এভাবে দীর্ঘদিন একই স্থানে থাকতে থাকতে ৪৩ বছর বয়সী অ্যাসাঞ্জের শরীরের অবস্থা খারাপ হয়ে গেছে। তবে তিনি কখন দূতাবাস ছাড়বেন, এ বিষয়ে সময়সীমা নির্ধারণ করা কঠিন।
অ্যাসাঞ্জের আইনজীবী বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের কাছে প্রত্যর্পণ করা হবে না—এমন সমঝোতা হলে রাজনৈতিক আশ্রয়প্রার্থী দেশের দূতাবাস থেকে শিগগিরই চলে যাবেন অ্যাসাঞ্জ।
মার্কিন কূটনৈতিক তারবার্তা ফাঁস করার মাধ্যমে ২০১০ সালের শেষের দিকে বিশ্বব্যাপী আলোচনায় আসেন অস্ট্রেলিয়ার নাগরিক অ্যাসাঞ্জ। তাঁর বিরুদ্ধে এক অস্ট্রেলীয় নাগরিককে সুইডেনে যৌন হয়রানি করা ও ধর্ষণের অভিযোগ থাকলেও তিনি তা অস্বীকার করে আসছেন। যুক্তরাজ্যের পুলিশ তাঁকে ২০১১ সালের শুরুর দিকে গ্রেপ্তার করে। পরে তিনি জামিনে মুক্তি পান।
অ্যাসাঞ্জের আশঙ্কা, যুক্তরাজ্য তাঁকে গ্রেপ্তার করে সুইডেনে প্রত্যর্পণ করলে তাঁকে যুক্তরাষ্ট্রের হাতে তুলে দেওয়া হতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় তথ্য ফাঁসের ঘটনাগুলোর একটির নায়ক অ্যাসাঞ্জকে তখন মার্কিন বিচারব্যবস্থার মুখোমুখি হতে হবে।