আরিফ উদ্দিন, গাইবান্ধা থেকেঃ ঘাঘট, ব্রহ্মপুত্র ও করতোয়া নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলেও তিস্তা নদীর পানি অপরিবর্তিত রয়েছে। ফলে বুধবার গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ, ফুলছড়ি, সাঘাটা ও সদর উপজেলার আরও নতুন নতুন এলাকা বন্যা কবলিত হয়ে পড়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড সুত্রে জানা গেছে, গত ২৪ ঘন্টায় ঘাঘট নদীর পানি ২ সে.মি., ব্রহ্মপুত্র ৯ সে.মি. এবং তিস্তা নদীর পানি ৫ সে.মি. বৃদ্ধি পেয়েছে। ঘাঘট নদীর পানি এখন বিপদ সীমার ২৭ সে.মি. উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে খোলাহাটির পূর্ব কোমরনই, মিয়াপাড়াসহ বিভিন্ন এলাকার বসতবাড়িতে বন্যার পানি উঠতে শুরু করেছে। বন্যার পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় জেলা শহরের পৌর এলাকা ও পার্শ্ববর্তী খোলাহাটি ইউনিয়নের কুঠিপাড়া, মিয়াপাড়া, পূর্ব কোমরনই, পশ্চিম কোমরনই, ডেভিড কোম্পানীপাড়ার ও দশানীর শহর রক্ষা বাঁধের ৬টি পয়েন্টে বাঁধটি চরম হুমকির মুখে পড়েছে। এদিকে ফুলছড়ি উপজেলার উত্তর উড়িয়া, কাতলামারি, সিংরিয়া, গ্রামে এবং সংলগ্ন বাঁধ এলাকায় নদী ভাঙ্গন তীব্র আকার ধারণ করেছে। ভাঙ্গন কবলিত মানুষ বাড়িঘর ছেড়ে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে আশ্রয় নিতে বাধ্য হচ্ছে। কৃষি বিভাগ সুত্রে জানা গেছে, আকস্মিক এই বন্যায় জেলার ৪টি উপজেলার বন্যা কবলিত ১৮টি ইউনিয়নের ১ হাজার ৪শ’ ৫৬ হেক্টর আবাদি জমির ফসল বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। ত্রাণ ও পুনর্বাসন দপ্তর সুত্র জানিয়েছে, সরকারি ত্রাণ সহায়তা বাবদ বন্যা দুর্গত পরিবারের মধ্যে ইতোমধ্যে ১শ’ মেঃ টন চাল ও ১ লাখ টাকার জরুরী ত্রাণ উপকরণ বিতরণ করা হয়েছে। তবে প্রদানকৃত ত্রাণ সামগ্রী চাহিদার তুলনায় অপ্রতুল।