রবিউল ইসলাম, রাজশাহী প্রতিনিধি:
বর্তমান অবৈধ আ’লীগ সরকার গণতন্ত্রকে চিরস্থায়ী কবরন্থ করে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা কায়েম করার জন্যই সম্প্রচার নীতিমালা প্রণয়ণ করেছে। নিজেদের সকল ব্যর্থতা, অপকর্ম, দুর্নীতি আর লুটপাট যেন সাংবাদিকরা টিভি চ্যানেল এবং পত্র-পত্রিকায় প্রকাশ করতে না পারে সে জন্য এই নতুন নীতিমালা। সরকার যা চাইবে তাই করতে হবে। পৃথিবীর এমন কোন দেশ নেই যেখানে একজনের কথায় সব চলবে।
বৃহস্পতিবার বেলা ১১ টায় রাজশাহী বিশ^বিদ্যালয় জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের উদ্যোগে ডীনস কমপ্লেক্রে আয়োজিত “জাতীয় সম্প্র্রচার নীতি ১৪ এবং এবং গণমাধ্যমের স্বাধীনতা” শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।
জাতীয়বাদী শিক্ষক ফোরামের সভাপতি প্রফেসর কে বি এম মাহবুবুর রহমানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সম্মলিত পেশাজীবী পরিষদের আহ্বায়ক ও বিএফইউজে’র সাবেক সভাপতি রহুল আমিন গাজী এবং ব্র্যাক বিশ^বিদ্যালয়ের প্রফেসর ও গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব প্রফেসর ড. পিয়াস করিম। সভায় প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিশিষ্ট সমাজ বিজ্ঞানী প্রফেসর ড. আব্দুর রহমান সিদ্দিকী।
বক্তরা এ সময় আরো বলেন, বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ গত ৫ জানুয়ারী নির্বাচনে প্রমাণ করেছে যে আ’লীগ সরকারের অধীনে সুষ্ঠ নির্বাচন সম্ভব নয়। এ জন্য দরকার নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার। গত নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দিতায় ১৫৩জন সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছে যেটা একটি গণতন্ত্র দেশে হতে পারে না। গণমাধ্যম হলো গণতন্ত্রের প্রাণ। বর্তমান ফ্যাসিস্ট আ’লীগ সরকার আমারদেশ প্রত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক, কলম সৈনিক ও বিশিষ্ট সাংবাদিক জনাব মাহমুদুর রহমানকে অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করে কারাগারে আটকে রেখে তার উপর নির্যাতন চালাচ্ছে। সরকারের সমালোচনা, ব্যর্থতা এবং সত্য সংবাদ প্রচার করার কারণে দীর্ঘদিন থেকে বহুল প্রচারিত দিগন্ত ও ইসলামিক টেলিভিশন এবং আমারদেশ প্রত্রিকা বন্ধ করে রেখেছে। অনতিবিলম্বে এ সকল গণমাধ্যম খুলে দিয়ে নতুন সম্প্রচার নীতি বন্ধ করার আহ্বান জানান।
ফোরামের সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ড. আমজাদ হোসেনের পরিচালনায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী বিশ^বিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি প্রফেসর রফিকুল ইসলাম, রাবি’র সাবেক প্রো-ভিসি প্রফেসর ড. কে এম শাহাদাত হোসেন মন্ডল, শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি প্রফেসর মু. আজহার আলী, প্রফেসর নজরুল ইসলাম, প্রফেসর নিজাম উদ্দীন, প্রফেসর হাবিবুর রহমান, ড. মাহফুজুর রহমান আখন্দ, ড. ইফতেখারুল আলম মাসউদ প্রমুখ।