খলিল মোহাম্মদ, কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি ঃ কিশোরগঞ্জের নিকলী উপজেলার জারইতলা ইউনিয়নের দক্ষিণ দ্বারিশ্বর গ্রামের মোঃ আবদুস ছাত্তারের ছেলে নবম শ্রেণীর পড়–য়া ছাত্র তারেক মিয়া (১৬) এর হত্যা কান্ড নিয়ে এলাকাবাসীদের মধ্যে ধুম্রজালের সৃষ্টি হয়েছে। পুলিশ বলছে এটা একটা পরিকল্পিত হত্যা কান্ড। গত ৬দিন পার হয়ে গেলেও পুলিশ স্কুল ছাত্র তারেক মিয়া খুনের ঘটনাটি আড়াল করছে বলে জানা গেছে। এলাকাবাসী বলছে পার্শ্ববর্তী ৫০-৬০গজ দুরে বসবাসরত গাজিউর রহমানের সঙ্গে আবদুস ছাত্তার ও তার ভাইদের মধ্যে জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে মামলা মোকাদ্দমা চলে আসছে। এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, গত রবিবার রাত ৯টার পর মোঃ তারেক মিয়া রহস্যজনক ভাবে নিখোঁজ হয়। পরদিন স্কুল ছাত্র তারেক মিয়াকে দক্ষিন দ্বারিশ্বর গ্রাম হতে দুইকিলোমিটার দুরে দইঞ্জা ক্ষেতের মধ্যে তার লাশ পুলিশ উদ্ধার করে। গত বুধবার তারেক মিয়াকে দাফন করা হয়। নিহত তারেকের চাচা মাস্টার আবদুল মতিন জানান, ভাতিজাকে কে খুন করেছে তা তিনি জানেন না। তিনি বলেন, তাদের পার্শ্ববর্তী বাড়ি গাজিউর রহমানের সঙ্গে জমি নিয়ে বিরোধ আছে বলে উল্লেখ করেন। ভাতিজা মোঃ তারেককে কে হত্যা করেছে এবিষয়ে প্রশ্ন করলে তিনি কোনো জবাব দেননি। নিহত তারেকের সৎমা মোছাঃ নুরুন্নাহার আড়াই বছরের শিশু সন্তান মোঃ তামিম ও সৎ ছেলে মোঃ তারেক মিয়াকে নিয়ে তার বাবার বাড়ি গচিহাটা পূর্ব সহশ্রাম চলে যান। গত প্রায় সাড়ে৪ বছর আগে দুই ছেলে ও নিজের জীবনের নিরাপত্তা ভেবে কটিয়াদী থানায় তিনি একটি জিডি করেন (যার নং-৯৮০, তারিখ-৩০/০৯/২০০৯)। তিনি বলেন, তার সৎ ছেলে মেধাবী ছাত্র তারেক মিয়াকে তার ভাশুর আবদুল মতিন মাষ্টারসহ অন্যান্য ভাইয়েরা (তারেক মিয়াকে) খুন করতে পারে বলে তিনি সন্দেহ করছেন ।