আরিফ উদ্দিন, গাইবান্ধা থেকেঃ গাইবান্ধায় ঘাঘট ও ব্রহ্মপুত্রের পানি সামান্য কমলেও জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি গতকাল শনিবার অপরিবর্তিত ছিল। ঘাঘট নদীর পানি ১০ সে. মি. হ্রাস পেয়ে বিপদ সীমার ১৫ সে.মি. উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। এসময় ব্রহ্মপুত্রের পানি ৪ সে.মি. কমেছে। তিস্তার পানি অপরিবর্তিত থাকে। তবে করতোয়ার পানি গত ২৪ ঘন্টায় ২ সে.মি. হ্রাস পেয়েছে। জেলার বন্যা কবলিত এলাকায় ২৫ হাজার পরিবার গত এক সপ্তাহ ধরে পানিবন্দি অবস্থায় দু:সহ দিন কাটাচ্ছে। রাস্তাঘাট ডুবে যাওয়ায় যোগাযোগ ব্যবস্থা ব্যাহত হচ্ছে। বিশুদ্ধ পানি ও জ্বালানি সংকট চরম আকার ধারণ করেছে। সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বেলকা ইউনিয়নে পূর্ব বেলকা ও বেকরির চর (মধ্য বেলকায়) ২টি বন্যা আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। তাতে ২শ’ বন্যার্ত মানুষ আশ্রয় নিয়েছে। জেলার বন্যা কবলিত ৫২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পানি উঠায় সেগুলোতে লেখাপড়া বন্ধ রয়েছে। এদিকে স্বাস্থ বিভাগ সুত্রে জানা গেছে, বন্যা উপদ্রুত এলাকায় ৩৮টি মেডিকেল টিম কাজ করছে। জেলা প্রশাসন থেকে জানানো হয়েছে গতকাল শনিবার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর থেকে বন্যার্তদের জন্য নতুন করে আরও ২শ’ মেঃ টন চাল ও ৩ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এ নিয়ে ওই অধিদপ্তর থেকে বরাদ্দকৃত ত্রাণের পরিমাণ দাড়ালো ৩শ’ মেঃ টন চাল ও ৪ লাখ টাকা। ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের চাহিদার তুলনায় এ ত্রাণের পরিমাণ একেবারেই নগন্য। জেলা প্রশাসক মো. এহছানে এলাহী জানিয়েছেন, বন্যার্তদের মাঝে ইতিমধ্যে ১শ’ ৫০ মেঃ টন চাল ও ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা বিতরণ করা হয়েছে।