প্রাণঘাতী ইবোলা রোগের পরীক্ষামূলক ওষুধ ‘জিম্যাপ’ বানরের ওপর প্রয়োগ করে ১০০ শতাংশ সফলতা পাওয়া গেছে। সংক্রমণের প্রাথমিক পর্যায় শুধু নয়, পরবর্তী পর্যায়গুলোতেও তা কার্যকর বলে দাবি করছেন গবেষকরা। গবেষকরা ইবোলায় আক্রান্ত ১৮টি রেসাস মাক্যাক প্রজাতির বানরের ওপর জিম্যাপ ওষুধটি প্রয়োগ করেন। ওই ১৮টি বানরকেই বাঁচানো সম্ভব হয়েছে। ইবোলায় আক্রান্ত হওয়ার ৫ দিন পরও কোন কোন বানরের দেহে ওষুধটি প্রয়োগ করে শতভাগ সফলতা পাওয়া গেছে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি। বানরের ক্ষেত্রে এ পর্যায়টা মারাত্মক। কারণ, মাত্র ৩ দিনের মাথায় সংক্রমণটি প্রানঘাতী আকার ধারণ করে। তবে মানুষের ক্ষেত্রে এ সময়টা আরও বেশি। এর মধ্য দিয়ে ইবোলার প্রতিষেধক ও ওষুধ উদ্ভাবনের পথে ‘বেশ গুরুত্বপূর্ণ একটি ধাপ’ অগ্রসর হলেন বিজ্ঞানীরা। ‘নেচার’ সাময়িকীতে গবেষণাপত্রটি প্রকাশিত হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, ইবোলা পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনার আগেই পশ্চিম আফ্রিকায় ২০ হাজার মানুষ এ সংক্রমণে আক্রান্ত হতে পারেন। কিন্তু, জিম্যাপের সীমিত উৎপাদন চিন্তায় ফেলেছে বিশেষজ্ঞদের। এদিকে এ পর্যন্ত যে ৭ জনের দেহে পরীক্ষামূলকভাবে জিম্যাপ প্রয়োগ করা হয়েছে, তাদের মধ্যে ২ জন মৃত্যুবরণ করেছেন। এ পর্যন্ত ভাইরাসটির সংক্রমণে আক্রান্ত হয়ে পশ্চিম আফ্রিকার দেশগুলোতে ১ হাজার ৫০০ জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে।