দেশে গুম-খুনের রাজত্ব চলছে মন্তব্য করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এখন আর হত্যা, গুম-খুন দেখার সময় নেই। সময় এসেছে গুম-খুনের বিরুদ্ধে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে সোচ্চার হতে হবে।
মঙ্গলবার দুপুরে আন্তর্জাতিক গুম প্রতিরোধ দিবস উপলক্ষে ২০ দলীয় জোট আয়োজিত মানববন্ধন কর্মসূচিতে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা আলমগীর বলেন, বর্তমান সরকার অবৈধভাবে ক্ষমতায় এসে ভিন্নমতকে স্তব্ধ করে দিতে চায়। বিরোধী নেতার্মীদের দমন করতে তারা অত্যাচার নির্যাতনের পথ বেছে নিয়েছে। কিন্তু আজকের এই মানববন্ধনই প্রমাণ করে সাধারণ মানুষ কখনোই এই অত্যাচার নির্যাতন মেনে নেয়নি। তারা গুম-খুনের প্রতিবাদ করছে।
তিনি বলেন, জনগণের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে এই অবৈধ সরকারকে হটানো হবে। নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে সবার কাছে গ্রহণযোগ্য একটি নির্বাচন দিতে এই সরকারকে বাধ্য করা হবে।
এর আগে মঙ্গলবার বেলা ১১ টা ২০ মিনিটে আনুষ্ঠানিকভাবে কর্মসূচি শুরু হয়। কর্মসূচির শুরুতেই গুম হওয়া ব্যক্তিদের স্বজনরা বক্তব্য রাখেন। তবে সকাল থেকেই বিএনপি ও ২০ দলের নেতামর্কীরা পল্টন এলাকায় জড়ো হন।
মানববন্ধনটি রাজধানীর নয়াপল্টনের নাইটেঙ্গেল মোড় থেকে পূর্বে মতিঝিল এলাকা পর্যন্ত বিস্তৃত হয়েছে। খন্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে বিএনপি ও ২০ দলীয় জোটের নেতাকর্মীরা কর্মসূচিতে অংশ নেন।
কর্মসূচিতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এম কে আনোয়ার, লে. জে. মাহাবুবুর রহমান, মির্জা আব্বাস, আব্দুল মঈন খান, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান, সেলিমা রহমান, যুগ্ম মহাসচিব এডভোকেট রুহুল কবির রিজভী আহমেদ, সালাহউদ্দিন আহমেদ, হাবিব-উন নবী খান সোহেল, জয়নুল আবদিন ফারুক, খায়রুল কবির খোকনসহ বিএনপি এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা অংশ নেন।
এ ছাড়া ২০ দলীয় জোট নেতাদের মধ্যে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য অধ্যাপক তাসনীম আলম, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য সেলিম উদ্দিন চৌধুরী, খেলাফত মজলিশের আমিন আব্দুল লতিফ নেজামী, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) ইব্রাহীম, মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, জাগপা চেয়ারম্যনা শফিউল আলম প্রধান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, এর আগে গত ৩০ আগস্ট এ কর্মসূচি পালনের কথা থাকলেও পুলিশের অনুমতি না পাওয়ায় মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করতে পারেনি ২০ দলীয় জোট। ওই দিন রাজধানীতে আওয়ামী লীগের অনুষ্ঠান থাকায় বিএনপিকে কর্মসূচি পালনের অনুমতি দেয়নি প্রশাসন। অনুমতি না পাওয়ায় ওইদিন পূর্বনির্ধারিত মানববন্ধন কর্মসূচি স্থগিত করে ২০ দলীয় জোট। একইদিন কর্মসূচি পালনে তারিখ পরিবর্তন করে ২ সেপ্টেম্বর নির্ধারণ করা হয়।