প্রবল বর্ষণ, টানা ও অতিবৃষ্টিতে রবিশস্যের ব্যাপক ক্ষতি হওয়ায় স্থানীয় বাজারে তরিতরকারির বাজার মূল্যে উত্তাপ বইছে। এ অবস্থায় খাগড়াছড়িতে কচি বাঁশের কোড়ল খাওয়ার প্রতিযোগিতায় নেমেছেন প্রান্তিক পাহাড়ি জনগোষ্ঠী। স্থানীয় হাটবাজারগুলোয় প্রতিনিয়ত বিক্রি হচ্ছে কচি বাঁশ। বিক্রেতা প্রতিনিয়ত স্থানীয় বাজারে নিয়ে আসছে বিক্রির উদ্দেশ্যে। স্থানীয়দের দাবি, বাজারে তরিতরকারির মূল্য বাড়ায় অনেকেই খাবারের তালিকায় এখন বাঁশকরুলকে রেখেছেন। সরেজমিন জেলা শহরের মহাজনপাড়া, মধুপুর বাজার, সবজি শেডে ও হাটবাজারের দিন বাঁশকরুল বিক্রির দৃশ্য দেখা গেছে। এ ছাড়া জেলার পানছড়ি, গুইমারা, তিনটহরী, দিঘীনালা, বাবুছড়া বাজারে অবাধে বিক্রি করা হচ্ছে বাঁশকরুল। এদিকে অবাধে বাঁশকরুল বিক্রি করলেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিক্রি বন্ধে কোন ভূমিকা রাখতে দেখা যাচ্ছে না। তবে পাহাড়ের আঞ্চলিক সংগঠন ইউপিডিএফ পার্বত্যাঞ্চলের পরিবেশ সুরক্ষা, বাঁশকরুল বিক্রি বন্ধে সামাজিক আন্দোলনের ডাক দিয়েছে। জেলার বিভিন্ন পাহাড়ি পল্লীতে করেছে পোস্টারিং। গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক অংগ্য মারমা জানান, বাঁশকরুল বিক্রি বন্ধে বনবিভাগের সঙ্গে একাধিক বৈঠক হয়েছে। সরকারের পাশাপাশি ইউপিডিএফ সামাজিক এ আন্দোলন অব্যাহত রেখেছে। তিনি দরিদ্রতার মধ্য দিয়ে বসবাস করলেও পরিবেশের কথা বিবেচনা করে বাঁশকরুল বিক্রি বন্ধ রাখতে পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর প্রতি আহ্বান জানান।