বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান সরকারের আতঙ্কের কারণ বলে উল্লেখ করেছেন ঢাকা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক মির্জা আব্বাস। তিনি বলেছেন, “আমরা অপেক্ষা করছি তারেক রহমান আসার পর সরকারের কী অবস্থা হয় তা দেখার জন্য।”
বৃহস্পতিবার বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্ম ঢাকা মহানগর (উত্তর) আয়োজিত তারেক রহমানের কারামুক্ত দিবসের আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা আব্বাস বলেন, “শহীদ জিয়ার নাম শুনলে আওয়ামী লীগ নেতা ও কিছু বুদ্ধিজীবীর হৃদস্পন্দন বেড়ে যায়। আর তারেকের নাম শুনলে তাদের গায়ে চুলকানি ধরে।”
সরকার বিএনপিকে উস্কানি দিচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, “সরকারের কোনো উস্কানিতে আমরা পা দেব না। আমরা শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন চালিয়ে যাব। এই সরকারের কাজ থেকে শিগগিরই নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি আদায় করেই ছাড়ব।”
তারেক রহমানের বিরুদ্ধে কথা বলার কারণ উল্লেখ আব্বাস বলেন, “অজ্ঞাত, অখ্যাত লোক হঠাৎ করে মন্ত্রী হয়ে নেত্রীকে খুশি করার জন্য তারেক রহমানকে নিয়ে লম্বা লম্বা কথা বলছে।”
তারেক রহমান এখন সুস্থ হননি বলে তিনি জানান। আওয়ামী লীগ নেতাদের সমালোচনা করে আব্বাস বলেন, “লম্বা লম্বা বক্তব্য দিয়ে তারা বলে বিএনপি কোনো দল নয়। তাহলে কেন বিএনপির নেতাদের নামে এত মামলা দিচ্ছে, কেন গ্রেফতার করছে অবৈধ সরকার।”
সরকারের সম্প্রচার নীতিমালা ও বিচারকদের অভিশংসন আইনের কথা উল্লেখ করে বিএনপির এই প্রবীন নেতা বলেন, “সরকার গণতান্ত্রিক অধিকার কেড়ে নিচ্ছে। যা সম্প্রচার নীতিমালা ও বিচারকদের অভিশংসন আইন করে প্রমাণ করেছে। তারা হয়ত কয়েক দিন পর বলবেন বাড়ি থেকে বের হতে হলে তাদের অনুমতির দরকার হবে।”
সভায় সংগঠনের সভাপতি শামা ওবায়েদের সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা শামসুজ্জামান দুদু, মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্মের মহানগর উত্তরের সভাপতি এস এম রিয়েল রোমান প্রমুখ।