ছোট-বড় দুই পর্দাতেই এখন দারুণ ব্যস্ত ক্রিকেট থেকে অভিনয়ে আসা মিশু চৌধুরী। অভিনয়কে ধ্যানজ্ঞান হিসেবে হৃদয়ে ধারণ করার পর থেকেই মিশু হাঁটছেন তার আপন গন্তব্যে। এগিয়ে চলেছেন প্রতিষ্ঠিত অভিনেত্রী হওয়ার লক্ষ্যে। এ সময়ে তার অভিনীত ৩টি ধারাবাহিক নাটক প্রচার হচ্ছে তিনটি বেসরকারি চ্যানেলে। মাছরাঙা টেলিভিশনে প্রচার হচ্ছে মোস্তফা মননের ‘নারী’, একুশে টেলিভিশনে জাহাঙ্গীর আলম সুমনের ‘ভালবাসা কারে কয়’ এবং এসএ টিভিতে অঞ্জন আইচের ‘জল ফড়িংয়ের গান’। তিনটি ধারাবাহিকের গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করে দর্শকদের দৃষ্টি আকর্ষণে সক্ষম হয়েছেন মিশু। পাশাপাশি বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেলে প্রচার হচ্ছে তার মডেল হওয়া প্রাণ ডেইরি মিল্কের বিজ্ঞাপনচিত্র। মিশু চৌধুরী আসন্ন ঈদের জন্য নির্মিত তিনটি নাটকে অভিনয় করেছেন। নাকটগুলো হচ্ছে মোহাম্মদ নোমানের ‘জিতুর সংসার’। সঙ্গে সহশিল্পী জিতু আহসান ও বিজরী
বরকতউল্লাহ। মজিবুল হক খোকনের ‘অবজেকশন ইউর অনার’। সঙ্গে জাহিদ হাসান ও মোটুসী বিশ্বাস এবং সাজ্জাদ রাব্বির ‘ট্রাজিক লাইফ’। সঙ্গে ইরেশ জাকের। একটি একক নাটকেও অভিনয় করেছেন মিশু। আরটিভিতে প্রচারের অপেক্ষায় থাকা এই নাটকের নাম ‘ন্যায়-অন্যায়’। পরিচালক শুভ্র খান। মিশু চৌধুরী জানান, বর্তমানে তিনি দুটি ধারাবাহিকে কাজ করছেন যেগুলোর প্রচার সহসাই শুরু হবে। ধারাবাহিক দুটি হচ্ছে সকাল আহমেদ পরিচালিত ‘খেয়া’ এবং ফেরদৌস হাসানের ‘তোমার অরণ্য দিনে’। পাশাপাশি মিশু চৌধুরী অভিনীত প্রথম চলচ্চিত্র শাহ আলম কিরণ পরিচালিত ‘৭১-এর মা জননী’ আসন্ন ১৬ই ডিসেম্বর বিজয় দিবসে মুক্তি পাবে। আরেক ছবি ইসমাত আরা চৌধুরী শান্তির ‘মায়ানগর’ রয়েছে শেষ পর্যায়ে। মিশু বলেন, আরও তিনটি নতুন ছবিতে চুক্তিবদ্ধ হয়েছি। কিন্তু শুটিং শুরু না
হওয়ার আগে ছবিগুলোর নাম বলতে চাই না। মিশু চৌধুরী আরও বলেন, আমি মূলত উঁচু মানের অভিনেত্রী হতে চাই। এর জন্য দুই পর্দাতেই সমান তালে কাজ করে যেতে চাই। তিনি বলেন, একজন অভিনেত্রী হিসেবে অভিনয়টাই আমার কাছে মুখ্য। তবে বড় পর্দার প্রতি দুর্বলতা একটু বেশি। কারণ চলচ্চিত্র হচ্ছে বিশাল একটি গণমাধ্যম। এই মাধ্যমে প্রতিষ্ঠা পেতে কে না চায়।