ভারতের কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই পরিচালক রঞ্জিত সিনহার বিরুদ্ধে টুজি ¯েপকট্রাম কেলেঙ্কারির তদন্তে প্রভাব খাটানোর অভিযোগ উঠেছে সুপ্রীমকোর্টে। সুপ্রীমকোর্টও অভিযোগকে গুরুতর হিসেবে অভিহিত করে রঞ্জিত সিনহার নিকট ব্যাখ্যা চেয়েছে। এই কেলেঙ্কারীর সাথে জড়িত অনেক কর্পোরেট ব্যাবসায়ীর সাথে বৈঠকের ব্যাপারে তাকে লিখিত আকারে নিজের অবস্থান ব্যাখ্যা করতে বলা হয়েছে। আম আদমি পার্টির জ্যোষ্ঠ নেতা ও আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ টুজি ¯েপকট্রাম মামলার তদন্ত থেকে রঞ্জিত সিনহাকে সরিয়ে দিতে সুপ্রীম কোর্টের নিকট আদেশ চান। সিনহার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি এই কেলেঙ্কারীর সাথে জড়িত সাবেক টেলিকম মন্ত্রী দায়ানিধি মারানকে বাঁচানোর চেষ্টা করেছেন। শুধু তাই নয়। কয়লা দূর্নীতি নিয়ে অপর একটি উচ্চ পর্যায়ের দূর্নীতি মামলায়ও নিজের পদকে ব্যাবহার করে সিনহা অভিযুক্তদের বাঁচাতে চেয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন প্রশান্ত। প্রশান্ত ভূষণ নিজের যুক্তির পক্ষে একটি ডায়রি পেশ করেছেন সুপ্রীম কোর্টের নিকট। সিনহার বাড়ির গেট থেকে এই ডায়রি হস্তগত হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে। সে ডায়রিতে অভিযোগের পক্ষে অনেক প্রমাণ রয়েছে বলে দাবি করেছেন প্রশান্ত। সুপ্রীম কোর্ট বলেছেন, প্রয়োজনে তারা সিনহার এ সংক্রান্ত তদন্তে সমস্ত আদেশ বাতিল করে দেবেন। কিন্তু সিনহা এই ডায়রিকে ভুয়া বলে দাবি করেছেন। তবে এখানেই ক্ষ্রান্ত নন প্রশান্ত ভূষন। তিনি শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বরাবর লেখা এক চিঠিতে সিবিআই পরিচালক রঞ্জিত সাহাকে দায়িত্ব থেকে সরানোর আহ্বান জানান। একই সাথে তার বিরুদ্ধে শৃঙ্খলানুযায়ী ফৌজধারী মামলা গঠনেরও আহ্বান জানান প্রশান্ত।