কক্সবাজারের ঝিলনজা মৌজায় ৮৭ একর জায়গায় পাহাড়কাটা রোধে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে পাহাড়কাটায় জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নির্দেশনা বাস্তবায়ন করে দুই মাসের মধ্যে অগ্রগতি প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করতে বলা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার বিচারপতি মইনূল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি মো. আশরাফুল কামাল সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এক রিটের পরিপ্রেক্ষিতে রুলসহ এ আদেশ দেন। বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা) ওই এলাকায় পাহাড়কাটা বন্ধে নির্দেশনা চেয়ে গতকাল সোমবার রিটটি করে। আজ রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ইকবাল কবির।
রুলে পাহাড়কাটা রোধে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন বেআইনি হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাকে প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা হিসেবে ঘোষণা কেন করা হবে না এবং তা সংরক্ষণে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তাও জানতে চাওয়া হয়েছে।
ভূমিসচিব, পরিবেশসচিব, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক, উত্তরণ গৃহায়ণ সমবায় সমিতির সভাপতিসহ বিবাদীদের তিন সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আইনজীবী ইকবাল কবির প্রথম আলোকে বলেন, ঝিলনজা মৌজায় উত্তরণ গৃহায়ণ সমবায় সমিতি নামের একটি প্রতিষ্ঠান পাহাড় কেটে হাউজিং নির্মাণের কার্যক্রম শুরু করেছে। ইতিমধ্যে বেশ কিছু পাহাড় কেটে ফেলা হয়েছে। এ কারণে আবেদনটি করা হয়।