আর কদিন পরেই পাকিস্তানের বিপক্ষে দ্বিপক্ষীয় সিরিজ। অক্টোবরে ‘নিরপেক্ষ ভেন্যু’ আরব আমিরাতে পাকিস্তানের বিপক্ষে দুই টেস্ট, তিন ওয়ানডে ও একটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচের সিরিজ খেলতে যাচ্ছে অস্ট্রেলিয়া। এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ সিরিজের আগে দলের সেরা অস্ত্র সাঈদ আজমলকে ‘চাকিং’ অভিযোগে হারানোটা মিসবাহ-বাহিনীর জন্য বিরাট ধাক্কা হলেও অস্ট্রেলিয়া কিন্তু এতে দারুণ খুশি। আজমলের মুখোমুখি হতে হবে না—এই আনন্দটা তো অবশ্যই আছে। অবশ্য অস্ট্রেলিয়ার কোচ ড্যারেন লেম্যান সেটা স্বীকার করেননি; বরং তিনি আজমলের নিষেধাজ্ঞায় সন্তুষ্টি জানিয়েছেন ‘ক্রিকেটের বৃহত্তর স্বার্থে’র কথা উল্লেখ করেই।
লেম্যান বলেছেন, ‘আজমলের নিষেধাজ্ঞাটা ক্রিকেটের জন্য অবশ্যই ভালো একটি সিদ্ধান্ত। বিশ্বাস করতে চাই, আইসিসি চাকিং বিতর্কটার মূল উৎপাটনের জন্যই মাঠে নেমেছে। ক্রিকেটের বৃহত্তর স্বার্থেই ক্রিকেটের সর্বোচ্চ সংস্থার এটি চালিয়ে যাওয়া উচিত।’
অস্ট্রেলিয়ার অ্যাডিলেড রেডিও স্টেশনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে লেম্যান বলেছেন, ক্রিকেট-সংশ্লিষ্ট সবারই এর আইন-কানুনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া উচিত। কেউ যদি নিয়মের মধ্যে থাকে, তাহলে ঠিক আছে। নিয়মের বাইরে গেলেই এ ব্যাপারে সতর্ক হওয়া উচিত। আমার মনে হয়, আইসিসি সঠিক কাজটিই করেছে (আজমলের ওপর নিষেধাজ্ঞা এনে)।’
আজমলের নিষেধাজ্ঞার ব্যাপারে লেম্যানও কিন্তু যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। তিনি পদাধিকার বলে আইসিসির ক্রিকেট কমিটির একজন সদস্য। সাবেক ভারতীয় লেগস্পিনার ও অধিনায়ক অনিল কুম্বলের সভাপতিত্বে এই কমিটির সদস্যসংখ্যা ১৭। গত জুনে মেলবোর্নে ক্রিকেট কমিটি এক সভার মাধ্যমে চাকিংয়ের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থানের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। সেই সভার পর আইসিসিও এ ব্যাপারে শক্ত অবস্থান নেয়। ক্রিকেট কমিটির সুপারিশ ছিল, মাঠেই চাকিংয়ে জড়িত বোলারদের নিয়ন্ত্রণে আম্পায়ারদের ক্ষমতায়ন। ক্রিকেট কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে আম্পায়ারদের ক্ষমতায়নের বিষয়টি হয়তো খুব শিগগির বাস্তবায়িত হবে।