প্রিয় দলের এই অবস্থা সহ্য করবেন কেন রিয়াল সমর্থকেরা? লা লিগার প্রথম তিন ম্যাচের দুটোতেই হার, পয়েন্ট টেবিলের তলানির জায়গায় অবস্থান! কোটি কোটি ডলার খরচ করে গড়া তারকাখচিত দলের যদি এমন অবস্থা হয়, তাহলে তো সমর্থকদের ক্ষোভ বিপজ্জনক রূপ নেবেই। সমর্থকদের এমনই ক্ষুব্ধ রূপের দেখা পেলেন গ্যারেথ বেল, টনি ক্রুস আর রাফায়েল ভারানে। বেল তো গাড়ি নিয়ে পালিয়ে বেঁচেছেন। ক্রুস আর ভারানে মাথা নিচু করে সহ্য করেছেন অসহনীয় বাক্যবাণ।
সোমবার অনুশীলনটা মাত্রই শেষ করেছিলেন রিয়াল মাদ্রিদ খেলোয়াড়েরা। বাস্তব কারণেই গতকাল অনুশীলন মাঠের আশপাশের নিরাপত্তাব্যবস্থায় ছিল একটু কড়াকড়ি। রিয়ালের মাঠের পারফরম্যান্স, খেলোয়াড় বিক্রি-বেচা নিয়ে সমর্থকদের ক্ষোভ-বিক্ষোভ সামাল দিতেই একটু যেন বাড়তি সতর্ক ছিল রিয়াল মাদ্রিদ কর্তৃপক্ষ। অন্যরা বাঁচলেও সমর্থকদের রোষ থেকে রেহাই পাননি বেল, ক্রুস ও ভারানে।
অনুশীলন মাঠ থেকে বেরিয়ে বেল যখন তাঁর গাড়ির দিকে যাচ্ছিলেন, তখনই অপেক্ষমাণ কয়েকজন সমর্থক তাঁকে উদ্দেশ করে গালাগাল করতে থাকেন। কয়েকজন নাকি অটোগ্রাফের জন্যও চিৎকার করছিলেন। পুরো ব্যাপারটা এড়িয়ে বেল যখন তাঁর গাড়িতে ওঠেন, তখনই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন সমর্থকেরা। তাঁরা বেলের গাড়ির দিকে তেড়ে যান। বসিয়ে দেন গাড়ির দরজায় গোটা কয়েক লাথিও। ওয়েলস ফুটবলার ভাগ্যিস গাড়িতে উঠে দরজা লাগিয়ে দিয়েছিলেন। নয়তো কয়েকটি লাথি পড়তে পারত তাঁর শরীরেও। শারীরিক অপমানের হাত থেকে খুব জোর বেঁচে গেছেন তিনি।
টনি ক্রুস ও রাফায়েল ভারানের ব্যাপারটিও অনেকটা একই রকম। তাঁদের লক্ষ্য করে সমর্থকদের স্লোগান ছিল, ‘ফালতু বিদেশিরা ফিরে যাও। আমরা এমন বিদেশি চাই না, যারা প্রিয় ক্লাবকে জেতাতে পারে না।’ ক্রুস আর ভারানে আর কী করবেন। মাথা নিচু করে চলে যান নিজেদের গন্তব্যে। সমর্থকেরা স্লোগানই তো দিয়েছেন, বেলের মতো তাঁদের লাথি ছোড়ার মুখে তো আর পড়তে হয়নি।
অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের সঙ্গে পরাজয়ের পর গ্যালারি থেকে সবচেয়ে বেশি দর্শকের বিদ্রূপ আর গালাগালের শিকার হয়েছিলেন গোলরক্ষক ইকার ক্যাসিয়াস। করিম বেনজেমাকেও হতে হয়েছে বিদ্রূপের মুখোমুখি। সিটি-খিস্তি-খেউড় এসব তো ছিলই।
এখনই পারফরম্যান্সের উত্তরণ না ঘটালে বাকি মৌসুমে রিয়াল ফুটবলারদের ভাগ্যে কী অপেক্ষা করছে—কে জানে! সূত্র: মেইল অনলাইন।