আমদানিকারকেরা সচেতন হলে কনটেইনার পণ্য পরিবহনে বছরে অন্তত ৬০০ কোটি টাকার বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় সম্ভব। এ ক্ষেত্রে পণ্য পরিবহনের ভাড়া নিজেরা দর-কষাকষির মাধ্যমে নির্ধারণ করতে হবে। আর তা নিজেদেরই পরিশোধ করতে হবে।
চট্টগ্রামের আগ্রাবাদে গতকাল মঙ্গলবার বাংলাদেশ ফ্রেইট ফরোয়ার্ডার অ্যাসোসিয়েশনের (বাফা) কার্যালয়ে এক মতবিনিময় সভায় এ হিসাব দেন সংগঠনের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি আমিরুল ইসলাম চৌধুরী ও পরিচালক অমিয় শংকর বর্মণ। সভাটির আয়োজন করে বাফা।
আমিরুল ইসলাম চৌধুরী জানান, সরবরাহকারী পণ্য পরিবহনের ভাড়া শোধ করলে ঝুঁকিমুক্ত থাকার জন্য পণ্য পরিবহন খরচের অন্তত ১০ শতাংশ বেশি অর্থ আদায় করেন। অন্যদিকে আমদানিকারকেরা যখন নিজেরাই ফ্রেইট ফরোয়ার্ডারের মাধ্যমে পণ্য পরিবহনের ভাড়া শোধ করবেন, তখন দর-কষাকষি করে ভাড়া ঠিক করতে পারেন। ২০১৩ সালে বন্দর দিয়ে সাত লাখ ৩১ হাজার ১৭২ একক কনটেইনার পণ্য আমদানি হয়। এ হিসাবে প্রতি কনটেইনারে ১০০ ডলার সাশ্রয় হলে বছরে সাড়ে সাত কোটি মার্কিন ডলার বা ৬০০ কোটি টাকা সাশ্রয় হতে পারে।
সভায় বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি এজাজ ইউসুফী, ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের আবাসিক প্রধান মামুন আবদুল্লাহ, বাফার পরিচালক খায়রুল আলম প্রমুখ।