বিএনপি জামায়াত জোট জনগণের সাড়া না পেয়ে বিদেশী প্রভুদের নিয়ে নতুন করে ষড়যন্ত্র করছে বলে অভিযোগ করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ। তিনি বলেন, ষড়যন্ত্রের জাল উন্মোচন হলে খালেদা জিয়াকেই দেশ ছাড়তে হবে, শেখ হাসিনাকে নয়। বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের ৩৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমির মহড়া কক্ষে এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। খালেদা জিয়ার সামপ্রতিক তৎপরতা প্রসঙ্গে হানিফ বলেন, দেশে অস্থিরতা সৃষ্টির জন্য কোনোরকম ইস্যু ছাড়াই আপনারা হরতাল দিয়ে নৈরাজ্য সৃষ্টি করেন। কিন্তু জনগণ তা প্রত্যাখ্যান করেছে। জ্বালাও, পোড়াও ও ষড়যন্ত্র বাদ দিয়ে নেতিবাচক রাজনীতি পরিহার করে ইতিবাচক রাজনীতির ধারায় ফিরে আসতে খালেদা জিয়ার প্রতি আহ্বান জানান আওয়ামী লীগের এই নেতা। খালেদা জিয়ার আদালতের প্রতি আস্থা নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, আপনি বারবার বিচার বিভাগের প্রতি অশ্রদ্ধা জ্ঞাপন করছেন। সময়ে-অসময়ে নানা কটু কথা বলছেন। অন্যের দোষ ধরার আগে নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করুন। আপনার নিজের নামে, দুই পুত্রের নামে মামলাগুলো মোকাবিলা করে নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করে অন্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ করুন। ষড়যন্ত্রের বিষয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সতর্ক আছেন উল্লেখ করে হানিফ বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বড় মনের মানুষ ছিলেন। তিনি বাংলার মানুষকে বিশ্বাস করতেন। তার কন্যা শেখ হাসিনাও বড় মনের মানুষ। তবে তিনি মোনাফিক ও ষড়যন্ত্রকারীদের বিষয়ে সতর্ক আছেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় খালেদা জিয়ার দেয়া ভাষণকে মিথ্যা, বানোয়াট ও অরুচিতে ভরপুর উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ জনসভায় লোকসমাগম হয়েছে। কিন্তু একদিন আগে হরতালে একজন নেতাকর্মীও মাঠে নামেনি। এতেই প্রমাণিত হয় এ হরতালে জনগণের কোন অংশগ্রহণ ছিল না। এ সময় আইনের শাসনের পথচলা অব্যাহত রাখার জন্য বিএনপির প্রতি আহ্বান জানান হানিফ। এতে সভাপতিত্ব করেন এডভোকেট তারানা হালিম। আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক এডভোকেট আফজাল হোসেন, মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সহ-সভাপতি অভিনেতা এটিএম শামসুজ্জামান অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।