শাহবাগে পাল্টাপাল্টি সমাবেশ করেছে গণজাগরণ মঞ্চ। পাশাপাশি দু’পক্ষ সমাবেশ করলেও কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসি, জামায়াত নিষিদ্ধসহ ৬ দফা দাবিতে আগামী ১৯শে অক্টোবর আইন মন্ত্রণালয়ের অভিমুখে পদযাত্রার ঘোষণা করেছে গণজাগরণ মঞ্চের একাংশ। যুদ্ধাপরাধীদের ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্টের ক্ষমার বিধান বাতিল, দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ আপিল করা ও জামায়াত নিষিদ্ধসহ ৬ দফা দাবিতে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন সংগঠনের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকার। এছাড়া ১৪ ও ১৫ই নভেম্বর গণজাগরণ মঞ্চের জাতীয় সম্মেলন করারও ঘোষণা দেয়া হয় সমাবেশ থেকে। অন্যদিকে কামাল পাশা চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন সমাবেশ থেকেও প্রায় একই দাবি তোলা হয়। দু’টি সমাবেশ কাছাকাছি হওয়ার কারণে কোন বক্তার বক্তব্যই উপস্থিত লোকজন স্পষ্ট বুঝতে পারেননি। সমাবেশে ইমরান এইচ সরকার বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষা ও পুনর্বাসনের জন্য কাজ করছে সরকার। কিন্তু এটা হতে দেয়া হবে না। তিনি নাম উল্লেখ না করে কামাল পাশা অংশের সমাবেশের সমালোচনা করে বলেন, আমরা এক সপ্তাহ আগে কর্মসূচি দিয়েছি। তখন অন্য কারও কর্মসূচি ছিল না। এখন হঠাৎ করে মাইক এনে বক্তব্য দিচ্ছেন। অনেকেই এখন যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষায় মাঠে নেমেছেন। কামাল পাশা সমাবেশে বলেন, তারা ঈদের পর গণজাগরণ মঞ্চের কমিটি গঠন করবেন। এখন মঞ্চে কোন কমিটি নেই।