২০ দলীয় জোটের শীর্র্ষ নেতা ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদাকে সরকার গ্রেপ্তার করলে এর পরিণতি ভয়াবহ হবে বলে হুঁশিয়ার করেছেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া। বলেছেন, সমপ্রতি প্রধানমন্ত্রী দলীয় এক সভায় বলেছেন, কোন বিশৃঙ্খলা হলে খালেদা জিয়াকেও গ্রেপ্তার করা হবে। দলীয় সভা থেকে দেশের সর্বোচ্চ পদে থেকে তিনি যেভাবে গ্রেপ্তারের হুমকি দিয়েছেন, এটা বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ও নিরপেক্ষতার ওপর হস্তক্ষেপ। প্রধানমন্ত্রী যদি বিচার বিভাগের ক্ষমতা হাতে নিয়ে বেগম খালেদা জিয়াকে গ্রেপ্তারের হুমকি দেন তাহলে আমরা সরকারকে স্পষ্ট ভাষায় বলে দিতে চাই, এর পরিণতি ভয়াবহ হবে। গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘ধানের শীষ সমর্থক ফোরাম’ আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। রফিকুল ইসলাম বলেন, বিগত সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় থেকেই খালেদা জিয়া ও তার বড় ছেলে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। এখনও তা অব্যাহত রয়েছে। হাজার হাজার নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেয়া হয়েছে। সরকার মিথ্যা মামলা দিয়ে বিএনপিকে দাবিয়ে রাখতে চায়। তত্ত্বাবধায়কের আমলে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে দায়ের করা ৭ হাজার ১০৩টি মামলা শেখ হাসিনার সরকার তুলে নিলেও বিএনপি নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে নতুন করে মিথ্যা মামলা দেয়া হচ্ছে। নামসর্বস্ব দলগুলোকে নিয়ে ন্যাশনালিস্ট ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট-এনডিএফ’ গঠনকেও ষড়যন্ত্র আখ্যায়িত করে বিএনপির এ সিনিয়র নেতা বলেন, এরশাদের আমলেও দল ভাঙার নানা রকম চক্রান্ত হয়েছিল। একটি দলের সভাপতি আরেকটি দলের সাধারণ সম্পাদক ভাগিয়ে একটি জোট হয়েছে। কোন লাভ নেই। দলছুটদের নিয়ে ষড়যন্ত্র করে ২০ দলীয় জোটকে ভাঙা যাবে না। এই জোট অক্ষুণ্ন আছে। জাতিসংঘের সদস্যপদ পাওয়ার ৪০তম বার্ষিকী উপলক্ষে প্রকাশিত ক্রোড়পত্রে জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি-মুনের বাণী সরকার প্রকাশ করেনি বলেও অভিযোগ করে রফিকুল ইসলাম বলেন, ওই বাণীতে বান কি-মুন ৫ই জানুয়ারির নির্বাচন পরবর্তী দেশের চলমান সঙ্কটজনক অবস্থা নিরসনে আলাপ-আলোচনার পরামর্শ দেন। ওই পরামর্শের কারণে তার বাণী ক্রোড়পত্রে দেয়া হয়নি বলে পত্রিকায় খবর এসেছে। এথেকে বোঝা যায় সরকার কত অসহিষ্ণু। এভাবে একটি দেশ চলতে পারে না। সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মো. গোলাম মোস্তফার সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিএনপির প্রচার সম্পাদক জয়নুল আবদিন ফারুক, স্বাধীনতা ফোরামের সভাপতি আবু নাসের মো. রহমতুল্লাহ, মাওলানা শোয়েব আহমেদ প্রমুখ বক্তব্য দেন।