দেশের ৬৩ জেলায় একটি করে তথ্য কেন্দ্র এবং সেখানে একটি করে সিনেপ্লেক্স নির্মাণ হবে। রাজধানী ঢাকার ডিএফপিতেও একটি এবং নির্মাণাধীন আর্কাইভ ভবনে তিনটি সিনেপ্লেক্স নির্মাণ হবে বলে জানালেন তথ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব উন্নয়ন (চলচ্চিত্র) এবং বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এসএম হারুন-উর রশীদ। তিনি বলেন, সরকার চলচ্চিত্রের সার্বিক উন্নয়নে বদ্ধপরিকর। সারা দেশের প্রেক্ষাগৃহকে আধুনিক করার উদ্যোগ সরকারের আছে। অচিরেই এর বাস্তব কার্যক্রম আপনারা লক্ষ্য করবেন। তথ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব, উন্নয়ন (চলচ্চিত্র) গত শুক্রবার চ্যানেল আইয়ের ১৬ বছরে পদার্পণ উপলক্ষে ‘বাংলাদেশের চলচ্চিত্র প্রত্যাশা ও প্রাপ্তি’ শিরোনামে আয়োজিত গোলটেবিল বৈঠকে উপরোক্ত তথ্যগুলো জানান। তিনি বলেন, চলচ্চিত্রকে দর্শকদের কাছাকাছি নিয়ে যাওয়ার জন্য বর্তমান সরকারের আন্তরিকতার কোন কমতি নেই। সরকার চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন ইনস্টিটিউট গঠন করেছে, আর্কাইভ ভবন নির্মাণ করছে, সরকারি অনুদানের ছবির সংখ্যা বাড়িয়েছে, অর্থ বাড়িয়েছে, শিশুদের জন্য চলচ্চিত্র নির্মাণের আলাদা অনুদানের ব্যবস্থা করেছে। জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার নিয়মিত করেছে। পুরস্কারের অর্থমূল্যও বৃদ্ধি করেছে। এফডিসিকে ডিজিটাল ও আধুনিক করার জন্য অর্থ বরাদ্দ করেছে। এক প্রশ্নের উত্তরে অতিরিক্ত তথ্য সচিব এসএম হারুন-উর রশীদ বলেন, কবিরপুরের জমিতে নানা সীমাবদ্ধতার মধ্যেও ভাল একটা কিছু করার চেষ্টা আমাদের আছে। অল্প কিছুদিনের মধ্যেই আপনারা এটারও বাস্তব প্রতিফলন দেখতে পাবেন। অতিরিক্ত তথ্য সচিবের এই বক্তব্যের সময় উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্ব গাজী মাজহারুল আনোয়ার, আবদুল লতিফ বাচ্চু, একেএম জাহাঙ্গীর খান, দেলোয়ার জাহান ঝন্টু, হাবিবুর রহমান খান, মতিন রহমান, ইলিয়াস কাঞ্চন, ওমর সানি, নারগিস আক্তার, চলচ্চিত্র গ্রাহক সমিতির সভাপতি রেজা লতিফ, ফিল্ম এডিটর গিল্ডের সভাপতি আবু মুসা দেবু, চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সোহানুর রহমান সোহান, মহাসচিব মুশফিকুর রহমান গুলজার, সাংবাদিক চিন্ময় মুৎসুদ্দী, রফিকুজ্জামান, রেজানুর রহমান এবং বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সাংবাদিক সমিতি (বাচসাস)’র সভাপতি আবদুর রহমান।