তথ্য গোপন করে জামিন পাওয়া পাঁচ ব্যক্তির জামিন বাতিল করেছে হাইকোর্ট। একই সঙ্গে তাদেরকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। ১৯ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার হলেও ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে ২৪৩ পিস ইয়াবা উদ্ধারের কথা উল্লেখ করে তারা হাইকোর্ট থেকে জামিন হাসিল করে। বিচারপতি মো. নূরুজ্জামান ও বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চ গতকাল জামিন বাতিলের আদেশ দেয়। আসামি পক্ষের আইনজীবীকে এ ব্যাপারে কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে। তদবিরকারকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থাসহ পুরো বিষয়টি তদন্তের জন্য সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রারকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। জামিন বাতিল হওয়া পাঁচ আসামি হচ্ছে- সোহেল (২৮), ফেরদৌস (৩০), মহসীন (২৮), মো. মোস্তফা (৩০) এবং মো. হাসান (৩৪)। গত ১লা জুলাই মিরপুরের পূর্ব মণিপুরের একটি বাসার নিচতলায় পাঁচজনের কাছ থেকে ১৯ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়। গত ৫ই আগস্ট পুলিশ পাঁচ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে। পরে মামলাটি বিচারের জন্য ঢাকার প্রথম যুগ্ম মহানগর দায়রা জজ আদালতে যায়। এই আদালতে ১লা সেপ্টেম্বর আসামিরা জামিন আবেদন করলে তা খারিজ হয়। এই খারিজ আদেশের বিরুদ্ধে পাঁচ আসামি হাইকোর্টে আবেদন করে। বিচারপতি মো. নূরুজ্জামান ও বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চ গত ১৮ই সেপ্টেম্বর তাদের ছয় মাসের জামিন মঞ্জুর করে। আসামি পক্ষ থেকে দাখিল করা কাগজপত্রে ২৪৩ পিস ইয়াবা উদ্ধারের কথা বলা হয়। বিষয়টি নজরে এলে রাষ্ট্রপক্ষ জামিন বাতিলের জন্য আবেদন করে। রাষ্ট্রপক্ষে আইনজীবী ছিলেন সহকারী এটর্নি জেনারেল মো. আলী জিন্নাহ।